ভারত সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদেই বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা কলকাতায় রয়েছেন—ইঙ্গিতে সেই ফাঁস করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) কলকাতার নিউটাউনে এক অনুষ্ঠানে বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দেওয়া ও বাঙালি হেনস্তার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি এই ইঙ্গিতপূর্ণ সেই তথ্যের কথা বলেন। 

মানবজমিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে মমতা বলেছেন, ভারত সরকার তো আমাদের অতিথি হিসেবে কয়েকজনকে রেখেছে, আমি কি না বলেছি। আশ্রয়ের কারণ হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশ বিপদে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন।

মমতা আরও বলেন, অতিথি হিসেবে রাখার রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। ভারত সরকারের অন্য কোনো কারণ রয়েছে। কিন্তু আমরা তো কিছু বলিনি।

মমতা বলেন, বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি হয়ে গেল, এটা কখনো হয়! কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে মমতা বলেন, আপনারা কেন বলবেন বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি! ১৯৭১ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির ফলে ভারতে আসা উদ্বাস্তুরা সকলে অবশ্যই ভারতের নাগরিক। বাংলাদেশি কোনোভাবেই নয়। এখন হয়তো আসতে পারবে না। 

মমতা অভিযোগ করেন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হচ্ছে- বাংলা ভাষায় কথা বললেই রিপোর্ট করে দেওয়া হবে। ওরা জানে না, বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্যা এশিয়ায় দ্বিতীয়। আর বিশ্বে পঞ্চম। 

মমতা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, বাংলায় বাংলাদেশি টান থাকতেই পারে। ওপার বাংলায় তারা ছিলেন এটা ভুলে গেলে চলবে না।

নিউটাউনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা দুটি আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধন করার সময় বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্তা নিয়ে সরব হন। এর আগে তিনি রাজপথে মিছিল করে ঘোষণা দিয়েছেন, হেনস্তা তিনি মানবেন না।