ইসরায়েলের ‘প্রযুক্তির মেরুদণ্ড’ ভেঙে দিয়েছে ইরান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিবের দক্ষিণে রিহবেত শহরে ইসরায়েলের বিখ্যাত সামরিক-সংশ্লিষ্ট গবেষণাগার ভাইসমান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স 'পুরোপুরি ধ্বংস' হয়ে গেছে। ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১৫ জুন ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে তৈরি করা ভাইসমান ইনস্টিটিউটের বড় ধরনের ক্ষতি হয়। কমপ্লেক্সটির একাধিক অংশকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার বৈজ্ঞানিক ও সামরিক গবেষণার মূল ভিত্তি হিসেবে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানটি এখন কার্যত অচল ও বিধ্বস্ত।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে—ইরানের সুনির্দিষ্ট এই হামলাকে 'ভুল করে আক্রমণ' হিসেবে দেখা হচ্ছে না। বরং এর লক্ষ্য ছিল পদার্থবিদ্যা, বায়োটেকনোলজি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ সামরিক গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ এই কেন্দ্রটিকে গুড়িয়ে দেওয়া।
ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল ১৩–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভাইসমান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের প্রেসিডেন্ট আলোন চেন বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকাণ্ড কমপ্লেক্সের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোয় অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে আঘাত করায় এর ব্যাপক ও অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক মূল্যায়ন ৩০০ মিলিয়ন ডলার থেকে অর্ধ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ক্ষতির ইঙ্গিত দেয়।
ক্ষয়ক্ষতির ছবি প্রকাশে বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, ইরান যাতে এসব স্থাপনায় আবারও আঘাত করতে না পারে সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চ্যানেল-১৩ বলছে—পরিস্থিতি এমন যে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ইরানের সুনির্দিষ্ট হামলা, ব্যাপ্তি ও অনেক জায়গার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো অবগত নন।
বিধিনিষেধ সত্ত্বেও যেসব ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠেছে।