Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

৩৭ ঘণ্টা টানা আকাশপথে উড়ে ইরানে আক্রমণ চালায় বি-২ বিমান

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০১:২৮ পিএম

৩৭ ঘণ্টা টানা আকাশপথে উড়ে ইরানে আক্রমণ চালায় বি-২ বিমান

নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ মডেলের বোমারু বিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে ইরানের উদ্দেশে রওনা হয়। প্রায় ৩৭ ঘণ্টা টানা আকাশপথে উড়ে এসব বিমান ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ চালায়।

ওই কর্মকর্তা জানান, অভিযানের সময় বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকায় আকাশেই একাধিকবার ট্যাংকার বিমানের মাধ্যমে জ্বালানি সরবরাহ করা হয়।

শনিবার মধ্যরাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ এবং ইস্পাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর এই আক্রমণ চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার মাধ্যমে সরাসরি ইরানসংক্রান্ত সামরিক অভিযানে সম্পৃক্ত হলো বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, ইরান যদি শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথে না আসে, তবে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাঁর ভাষায়, “আজকের রাতের হামলা ছিল শুধু শুরু।”

এই হামলায় প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের ‘জিবিইউ-৫৭’ বাংকারবিধ্বংসী বোমা ব্যবহার করে।

একজন মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, ইরানের পাহাড়ঘেরা ফোরদো স্থাপনাটিতে ছয়টি বি-২ বোমারু বিমান এক ডজন ‘জিবিইউ-৫৭’ ফেলে। এদিকে মার্কিন নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজ থেকে ছোড়া হয় ৩০টি টিএলএএম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র—নিশানা ছিল নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, নাতাঞ্জের একটি কেন্দ্রেও একটি বি-২ বিমান দুটি বাংকারবিধ্বংসী বোমা ফেলে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী, এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম ধ্বংস করা এবং সম্ভাব্য হুমকির সমূলে বিনাশ। তাঁর দাবি, “ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—এই তিনটি কেন্দ্রে আর কোনো কার্যক্রম নেই। সব ধ্বংস হয়েছে।”

তেহরান এ হামলার সত্যতা স্বীকার করলেও জানিয়েছে, এসব স্থাপনা অনেক আগেই খালি করে ফেলা হয়েছিল। ফলে জনগণের জন্য ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয়তা ছড়ানোর কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানানো হয়।


Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন