ইস্তানবুলে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় ইউক্রেন

ইস্তানবুলে আলোচনার জন্য আসা রুশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ভ্লাদিমির মেডিনস্কি (বাম থেকে দ্বিতীয়) ও তাঁর সহকর্মীরা। ছবি:রয়টার্স
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শান্তি আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন তুরস্কের ইস্তানবুলে, যা ২০২২ সালের পর রাশিয়ার সঙ্গে প্রথম সরাসরি সংলাপ হতে যাচ্ছে। ইউক্রেন চায় তাত্ক্ষণিক ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন একত্রে আলোচনায় না এলে সাফল্যের সম্ভাবনা কম বলে হুঁশিয়ারি এসেছে।
জেলেনস্কি বলেন, “রাশিয়া আলোচনা নিয়ে যথেষ্ট আন্তরিক না হলেও, ট্রাম্প ও এরদোয়ানকে সম্মান জানিয়ে আমরা প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছি।”
দলটির নেতৃত্বে থাকছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ।
তবে রাশিয়া একটি নিম্নপর্যায়ের দল পাঠিয়েছে, যার নেতৃত্বে আছেন কট্টরপন্থী ভ্লাদিমির মেডিনস্কি। তিনি ২০২২ সালের ব্যর্থ আলোচনাও পরিচালনা করেছিলেন। রাশিয়ার উচ্চপর্যায়ের কোনো সিদ্ধান্তগ্রহণকারী প্রতিনিধি না থাকায় ইউক্রেন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
এদিকে ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ ও মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও ইস্তানবুলে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেলেও, তাদের ভূমিকা পরিষ্কার নয়।
ট্রাম্প বলেন, “আমি আর পুতিন একসঙ্গে না বসা পর্যন্ত কিছুই হবে না।”
পুতিন এ আলোচনায় নিজে উপস্থিত না হয়ে নিজের অনাগ্রহই দেখিয়েছেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। বরং তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে আগ্রহী। ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্ররা বলছেন, যদি আলোচনায় অগ্রগতি না হয়, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
জেলেনস্কির মতে, “আমরা বারবার আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছি। কিন্তু যে পক্ষ যুদ্ধ থামাতে চায় না, তার ওপরই চাপ প্রয়োগ করতে হবে।”
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান