Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনা চান পুতিন, ইউক্রেনকে সরাসরি প্রস্তাব

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ১২:২৬ পিএম

ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনা চান পুতিন, ইউক্রেনকে সরাসরি প্রস্তাব

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার তিন দিনের একতরফা যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিয়েভকে সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি চাচ্ছেন, ইউক্রেন যেন ১৫ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আলোচনায় অংশ নেয়—যেখানে আলোচনার মূল লক্ষ্য হবে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধের পেছনের কারণগুলো দূর করা।

রোববার এক বিবৃতিতে পুতিন বলেন, “আমরা চাই কিয়েভ কোনো শর্ত ছাড়াই আলোচনায় বসুক। আমি আহ্বান জানাচ্ছি, ইউক্রেন যেন বৃহস্পতিবারই ইস্তাম্বুলে আলোচনায় অংশ নেয়।” তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গেও তিনি রোববারই কথা বলবেন।

পুতিন দাবি করেন, এটি কোনো সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নয়, বরং স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ। ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্রসজ্জা করতে সময় দেওয়ার জন্য এই বিরতি নয় বলেও স্পষ্ট করে দেন তিনি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর শুরু হওয়া এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত লাখো মানুষের প্রাণ গেছে, ঘরহারা হয়েছেন আরও অনেকে। এটিই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘাত।

তবে পুতিনের আলোচনার প্রস্তাব এলেও, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দপ্তর এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমাদের প্রস্তাব এখন টেবিলে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ইউক্রেন সরকারের, আর তাদের যারা পেছন থেকে চালনা করছে—যাদের মনে হচ্ছে জনগণের স্বার্থ নয়, বরং ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা এগিয়ে নিতে তারা কাজ করছে।” মস্কোতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত বিজয়ের ৮০ বছর পূর্তিতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এদিকে যুদ্ধবিরতির আবহে শনিবার ইউরোপের তিন নেতা—ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ড—কিয়েভে গিয়ে পুতিনকে ১২ মে থেকে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে বলেন। না হলে রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পুতিন এই আলটিমেটাম প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “মস্কো আগেও একাধিকবার শান্তির লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইস্টারের সময়, জ্বালানি স্থাপনায় হামলার ওপর নিষেধাজ্ঞা, ও ৮-১০ মে বিজয় দিবস উপলক্ষে তিন দিনের বিরতি।”

তবে এসব যুদ্ধবিরতির সময়ও উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি ভাঙার অভিযোগ করে আসছে।

পুতিনের মতে, এবার আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশ হামলা বন্ধ ও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলে সেটা হতে পারে একটি টেকসই শান্তির পথে প্রথম ধাপ।

এদিকে ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, রোববার রাশিয়া কিয়েভ ও দেশের অন্য শহরগুলোতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তবে এখনো এসব হামলায় হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন