Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল মিয়ানমারের সামরিক সরকার

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ০১:২৬ পিএম

রোহিঙ্গা রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল মিয়ানমারের সামরিক সরকার

রাখাইন রাজ্যে স্বাধীন রোহিঙ্গা রাষ্ট্র গঠনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমারের বর্তমান সামরিক সরকার।

গত রোববার ঢাকায় চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াত এই প্রস্তাব তোলে। তবে চীন এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

জামায়াতের প্রতিনিধি দলের প্রধান নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা "অমানবিক অবস্থায়" দিন কাটাচ্ছেন এবং কেবল মানবিক সহায়তা দিয়ে এই সংকটের সমাধান সম্ভব নয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা নিয়মিত কুনমিংয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বৈঠক করছেন।

মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রত্যাবাসনের আগে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে যাচাই ও নিবন্ধনের একটি নীতি তারা অনুসরণ করছে এবং ফিরে আসা শরণার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় আবাসন সুবিধাও নির্মাণ করা হয়েছে।

তারা বলেছে, জামায়াতের এই প্রস্তাব মূলত রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের কৌশল এবং এটি মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ।

চলতি বছর আর্জেন্টিনার একটি আদালত ২০১৭ সালের গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং ও আরও ২৩ জন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটরও মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করেছেন।

অন্যদিকে, চলতি মার্চে ভারতের মিজোরাম রাজ্যের একজন সংসদ সদস্য চীন রাজ্যের বিরোধী গোষ্ঠী ‘চিনল্যান্ড কাউন্সিল’-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ওই সীমান্ত অঞ্চলের জনগণের কাছে আহ্বান জানান, তারা যেন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করে, কারণ তাদের মধ্যে নৃগোষ্ঠীগত মিল রয়েছে।

এছাড়া ভারতের প্রতিবেশী রাজ্য মণিপুরের এক সংসদ সদস্য ভারতের লোকসভায় বক্তৃতা দিয়ে মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের কাবাও উপত্যকা ভারতের দখলে ফেরত নেওয়ার প্রস্তাব দেন এবং প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ দাবি করার জন্য নয়াদিল্লিকে পদক্ষেপ নিতে বলেন।

এই প্রেক্ষাপটে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিদেশি রাজনীতিকদের উচিত নিজেদের স্বার্থে এমন কিছু না বলা বা করা যা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানাতে আহ্বান জানান।

২০০১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা সীমান্তের বড় একটি অংশ আরাকান আর্মির হাতে হারিয়েছে। এছাড়া চিন রাজ্য ও সাগাইং অঞ্চলের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সরকারের বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে।

চীনা সীমান্তের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’, আর থাইল্যান্ডের সীমান্তের বড় একটি এলাকা দখলে রেখেছে ‘ক্যারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন’।


Logo

প্রধান কার্যালয়: ৬০৯০ ডাউসন বুলেভার্ড, নরক্রস, জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

ই-মেইল: banglaoutlook@gmail.com

অনুসরণ করুন