ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। তবে এর পরপরই হিন্দুস্তান টাইমসসহ ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো খবর প্রকাশ করে যে, হাসিনার ভারতে অবস্থানের মেয়াদ তথা ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আবার কিছু গণমাধ্যম বলছে, ভারত শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়িয়েছে। তবে ভারত ঠিক কবে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে তা এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

হিন্দুস্তান টাইমস নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। হাসিনা গত আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তখন থেকেই তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। তবে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে যে গুঞ্জন রয়েছে সেই কথাও অস্বীকার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এমন উদ্যোগকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে নয়াদিল্লির ওপর চাপ বৃদ্ধির প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে নয়াদিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যার্পণের অনুরোধ জানায় ঢাকা।