করোনার ভয়ংকর রূপ তুলে ধরে নতুন সতর্কতা দিল ডব্লিউএইচও
ছবি: সংগৃহীত
নতুন করে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার কথা জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) । সংক্রামক এই ভাইরাসের ভয়বহতা এখনো কাটেনি। এই ভাইরাসে সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৭০০ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর এমন ভয়ঙ্কর রূপ তুলে ধরেছেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ এখনও সারা বিশ্বে সপ্তাহে প্রায় ১৭০০ জনের প্রাণ কাড়ছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে অতিদ্রুত করোনারোধী টিকা নিতে হবে। এছাড়া কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের হার কমার ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক।
সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান বলেন, ক্রমাগত মৃত্যুর সংখ্যা সামনে আসা সত্ত্বেও ‘তথ্যগুলোতে দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনার হার হ্রাস পেয়েছে, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তারাও রয়েছেন।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা লোকদের শেষ ডোজ নেওয়ার ১২ মাসের মধ্যে আবারও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে ডব্লিউএইচও সুপারিশ করছে।
একইসঙ্গে ভাইরাস নজরদারি এবং সিকোয়েন্সিং বজায় রাখতে ও সাশ্রয়ী মূল্যে এবং নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানায় ডব্লিউএইচও।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের কেন্দ্রস্থলের হুনান সি-ফুড মার্কেটে প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। এরপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে করোনা মহামারি। এখন পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। তবে এই মহামারিতে প্রাণ হারানো মানুষের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। শুধু প্রাণ কাড়েনি এই মহামারি, বিশ্বের অনেকে দেশের অর্থনীতিকেও বিপর্যস্ত করেছে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেয়।
এদিকে, ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হওয়ার তিন বছরেরও বেশি সময় পরে ২০২৩ সালের মে মাসে করোনাভাইরাস মহামারি আর ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ নয় বলে ঘোষণা করেছিলেন ডব্লিউএইচও।