ফিক্সিং কাণ্ডে সাব্বিরকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ

ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) গত আসরে একটি বিতর্কিত আউটের ঘটনা ক্রিকেটাঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। গুলশান ক্রিকেট ক্লাব এবং শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচের শেষ উইকেটে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনাটি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল বিস্তর। এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ক্রিকেটার, বিসিবি কর্মকর্তা ও অন্যান্য ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল শাইনপুকুরের ব্যটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বিরের ‘অস্বাভাবিক’ আউট, যা নিয়ে পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।
বিসিবি তখন বলেছিল, ক্রিকেটে নৈতিকতা এবং অসদাচরণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়, এবং এই ধরনের ঘটনা ক্রিকেটের চেতনা এবং ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে তারা তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।
জানা যায়, গত আসরের ডিপিএলের গুলশান ক্রিকেট ক্লাব এবং শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচে যখন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব দলটির জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে, তখন ক্রিজে থাকা ব্যাটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির এমনভাবে আউট হন যা নিয়ে সন্দেহ ওঠে। টিভি ফুটেজে দেখা যায়- ক্রিজ থেকে বেরিয়ে আসার পর উইকেটরক্ষক স্টাম্প ভেঙে দেওয়ার আগমুহূর্তে লাইনে ব্যাট ঢুকিয়েও বের করে নেন মিনহাজুল সাব্বির। এরপরই তিনি স্ট্যাম্পিং আউট হন। শাইনপুকুর স্পোর্টিংও ম্যাচটি হেরে যায়।
বিসিবি'র তদন্ত এবং সুপারিশ:
এই ঘটনায় বিসিবি’র অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (আকু) তদন্ত শুরু করে এবং কয়েক মাস ধরে চলা অনুসন্ধান শেষে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রমাণ পায়। বাংলাদেশি এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আকু তার তদন্তের ফলস্বরূপ সাব্বিরের বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা সুপারিশ করেছে, যেখানে মাঠের সব ধরণের খেলা থেকে তাকে নিষিদ্ধ করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, আকু বিসিবিকে দেশের ক্রিকেটে দুর্নীতি রোধে আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- ড্রেসিং রুমে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণের কঠোর ব্যবস্থা, গুরুতপূর্ণ ম্যাচগুলোতে অ্যান্টি-করাপশন পর্যবেক্ষকের নিয়োগ, বেটিং মার্কেটের রিয়েল-টাইম মনিটরিং।