জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজ রবিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জাকসুর তফসিল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম।
তফসিল অনুযায়ী, আজ (১০ আগস্ট) খসড়া ভোটার তালিকা ও খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। খসড়া ভোটার তালিকা বিষয়ে আপত্তি গ্রহণের শেষ তারিখ ১৪ আগস্ট এবং একই দিন খসড়া আচরণবিধি সম্পর্কে মতামত গ্রহণের শেষ তারিখ।
আগামী ১৭ আগস্ট চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া, ১৮ ও ১৯ আগস্ট মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে। ১৯ আগস্ট মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২১ থেকে ২৪ আগস্টের মধ্যে করা হবে। ২৫ আগস্ট খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
মনোনয়নপত্র বৈধতা ও বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহনের শেষ তারিখ ২৬ আগস্ট। আপিলের শুনানি ও রায় ঘোষণা ২৭ আগস্টে অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৮ আগস্ট।
প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ২৯ আগস্ট প্রকাশ করা হবে। ২৯ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চলবে। ১১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ভোটগণনা শেষে সন্ধ্যা ৭টায় ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া, ভোটগণনা শুরুর পর প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর ফলাফলের আপডেট প্রকাশ করা হবে।
ভোটগ্রহনের দিন নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, “ভোটের দিন সার্বিক নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আমরা পুরো ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসবো এবং যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি থাকবে।”
পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর নবম ডিভিশনের সহায়তা নেওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি। ১৯৯২ সালে সর্বশেষ জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩ সালে সিন্ডিকেটে একটি হট্টগোলের কারণে তখন থেকে জাকসুর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট আটবার জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।