জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃতদের কাউন্সিল
আনিসুল চেয়ারম্যান, হাওলাদার মহাসচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম

জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দলের সাবেক সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। দলে কাজী ফিরোজ রশিদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে নির্বাহী চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে। আর মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন রুহুল আমিন হাওলাদার।
রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েল পার্টি সেন্টারে আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় পার্টির ১০তম জাতীয় কাউন্সিলে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সমর্থনে নির্বাচিত হন তাঁরা। কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জহির তাঁদের নাম ঘোষণা করেন।
কাউন্সিল অধিবেশনে জহিরুল ইসলাম জহির চেয়ারম্যান হিসেবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব হিসেবে রুহুল আমিন হাওলাদার, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে মুজিবুল হক চুন্নুর নাম উত্থাপন করেন। পরে বিকল্প কোনো প্রস্তাব না থাকায় এসব পদে তাঁদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন তিনি।
জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, চেয়ারম্যান বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন।
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞার সুযোগে দলের ভেতর নতুন মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। গত ৫ আগস্ট জিএম কাদের-বিরোধী অংশ এক সভায় দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করে। একই সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে জিএম কাদের যাদের বহিষ্কার করেছিলেন, তাঁদের সবার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে স্বপদে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
নব্বইয়ের গণআন্দোলনে এরশাদের পতনের পর প্রথমবারের মত ভাঙন ধরে জাতীয় পার্টিতে, ১৯৯৭ সালে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও শেখ শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে দ্বিতীয় দফা ভাঙন হয়।
কাজী জাফর ও শাহ মোয়াজ্জেমের নেতৃত্বে ১৯৯৮ সালে, ২০০১ সালে নাজিউর রহমানের নেতৃত্বে চতুর্থ দফা এবং ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর বিশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে জাপায় পঞ্চমবারের মত ভাঙে জাতীয় পার্টি।
এরশাদ মারা যাওয়ার পর সবশেষ ২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল তার স্ত্রী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির আরেকটি অংশ ভাগ হয়ে যায়।