এনসিপির অনুরোধ
৩ আগস্ট শহীদ মিনারের বদলে শাহবাগে সমাবেশ করবে ছাত্রদল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অনুরোধে আগামী ৩ আগস্টের ছাত্র সমাবেশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, একই দিনে একই স্থানে সমাবেশ করতে চায় এনসিপি। পরে তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শাহবাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রাকিব বলেন, শহীদ মিনারে সমাবেশের জন্য তারা পূর্বেই অনুমতি পেয়েছিলেন এবং সাধারণ মানুষের কোনো দুর্ভোগ সৃষ্টি না করতেই সে স্থানটি নির্বাচন করেছিলেন। তবে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে কর্মসূচি শাহবাগে সরিয়ে নিতে তারা সম্মত হয়েছেন।
শাহবাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোড় হওয়ায় এতে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে রাকিব বলেন, রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে যদি কোনো ধরনের ভোগান্তি তৈরি হয়, এই অনিচ্ছাকৃত সমস্যার জন্য আমরা নগরবাসীর কাছে অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি।
জুলাই অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ছাত্রদলের ধারাবাহিক কর্মসূচির একটি প্রধান অংশ ছিল ৩ আগস্টের এই ছাত্র সমাবেশ।
রাকিব জানান, তারা জুন মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে শহীদ মিনারে সমাবেশের জন্য আবেদন করে এবং লিখিত অনুমতিও পান। পরবর্তীতে একই দিনে এনসিপির ‘জুলাই মিছিল’ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠান শহীদ মিনারে আয়োজনের কথা জানানো হয়।
তিনি বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে ছাত্রদল ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাবেশ স্থান পরিবর্তনের অনুরোধ জানানো হয়। তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা শাহবাগে সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ছাত্রদলের এই অবস্থান গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক ধারার ছাত্ররাজনীতির প্রতীক হিসেবে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করে রাকিবুল ইসলাম বলেন, এই উদারতা অন্য রাজনৈতিক শক্তির জন্যও পথপ্রদর্শক হবে।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনসহ ক্যাম্পাসে সক্রিয় উপস্থিতি সত্ত্বেও ছাত্রদলের ভূমিকা প্রায়ই উপেক্ষিত হয় বা খাটো করে দেখা হয়, যা হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি। ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ‘আমরা উসকানির বিপরীতে শান্তি ও সহাবস্থানের বার্তা দিলাম।’
এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক পরিপক্বতা এবং দেশের সব ক্যাম্পাসে সম্মানজনক ছাত্র রাজনীতির আহ্বান হিসেবে দেখা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।