Logo
Logo
×

রাজনীতি

'সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কালিমা লেপন'

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম

'সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কালিমা লেপন'

জামায়াতে ইসলামীকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। আজ শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা ও সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ এই প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের স্মারক। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এখানেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র সংঘ (বর্তমানে ইসলামী ছাত্র শিবির), রাজাকার, নেজামে ইসলাম, আলবদর, আলশামস বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। অথচ আমরা দেখলাম স্বাধীন বাংলাদেশে এই প্রথম গণহত্যাকারী, যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তারা অভিযোগ করে বলেন, '২০২৪ সালের ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বীরশ্রেষ্ঠ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হলেও সরকার নির্বিকার ভূমিকা পালন করেছে।'

বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তিদের 'পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর' হিসেবে আখ্যা দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে, যা মুক্তিযুদ্ধের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণেরই অংশ।

তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার যেকোনো প্রচেষ্টা দেশের ছাত্র-জনতা প্রতিহত করবে। এই ইতিহাসকে কলঙ্কিত করার দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এড়াতে পারবে না। বাংলার প্রগতিশীল ও গণতন্ত্রকামী মানুষ নব্য রাজাকারদেরও প্রতিহত করবে, যেমনটি অতীতে করেছিল।'

Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন