চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ব্যানারে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
-68370e6e26af1.jpg)
চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট ও শাহবাগবিরোধী ঐক্যের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের ১২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নগরের জামালখানের চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত তিনজন হলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নগর সভাপতি রিপা মজুমদার, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত বিশ্বাস ও অর্থ সম্পাদক সুদীপ্ত গুহ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাসের প্রতিবাদে আজ বুধবার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। একই সময়ে সেখানে শাহবাগ বিরোধী ঐক্যের কর্মীরা জমায়েত হন। এর একটু পরেই দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর প্রায় আধা ঘণ্টা হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা চলে। সংঘর্ষে আহত হয় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কয়েকজন নেতা-কর্মী। ঘটনাস্থলে পুলিশ দুই পক্ষকে নিভৃত করার চেষ্টা করলেও বেশ কিছুক্ষণ চলে উত্তেজনা। একপর্যায়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ব্যানারে আগুন দেয় শাহবাগবিরোধী মঞ্চের নেতা-কর্মীরা।
শাহবাগবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে আসা কর্মীদের দাবি করেন, এসব বামপন্থী সংগঠনগুলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর। তারা জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের ন্যায়বিচার পাওয়া মেনে নিতে পারছে না।
জুলাই ঐক্য চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়কারী আবরার হাসান বলেন, একজন জামায়াত নেতার রায় নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ব্যানারে কয়েকজন দাঁড়িয়েছিল। একই সময় শাহবাগবিরোধী ঐক্যও সেখানে স্লোগান দিচ্ছিল। পুলিশ তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করছিল। তবে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে মারামারি লেগে যায়।
এদিকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নগর শাখার সহসভাপতি পুষ্পিতা নাথ বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে হামলার প্রতিবাদে আজ বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে তাঁরা কর্মসূচি পালন করতে যান। এ সময় ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একাংশের নেতা–কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিলেও হামলাকারীদের বাধা দেয়নি। এ ঘটনায় ১২ জন আহত হয়েছে।