-682c9acac339d.jpg)
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তারে চাপ ও পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়া তিনজনকে গতকাল সোমবার রাতে হেফাজতে নিয়েছিল ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তাদের ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন আব্দুল হান্নান মাসউদ। তবে তার দাবি, ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধে মধ্যস্থতা করতে যান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা ও পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ধানমন্ডি থানার ওসিকে উদ্দেশ্য করে এক তরুণ বলেন— ‘আপনি কেন এইখানে কথা বলতেছেন এইভাবে। আপনি ওসি আপনি গ্রেপ্তার করলেন না কেন। আমি বলছি, আমি বলছি... আপনি গ্রেপ্তার করেন।’
এরপরই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে তিনজনকে হেফাজতে নেয় ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। আজ বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন এবং এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদের উপস্থিতিতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ওই তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে হান্নান মাসউদ সাংবাদিকদের বলেন, 'এমনি খোঁজ-খবর নিতে এসেছি। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটা মীমাংসা করা হলো। এই ঘটনায় বাইরের অনেকেই জড়িত আছে। সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।'
পুলিশের ধানমন্ডি অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান বলেন, আধা ঘণ্টা আগে (বেলা সাড়ে তিনটা) এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদের অনুরোধে তাঁর জিম্মায় তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে তাঁরা এ ধরনের কাজে জড়িত হবেন না, এই মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন।
এদিকে বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে মোহাম্মদপুর থানার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে সংগঠনের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।