ডান্ডাবেড়ি পরানোয় পুলিশের চৌদ্দগোষ্ঠী খেয়ে ফেলার হুমকি ইনুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ডান্ডাবেড়ি পরানোয় পুলিশের চৌদ্দগোষ্ঠী খেয়ে ফেলার হুমকি দিয়েছেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এছাড়া ডান্ডাবেড়ি পরানোয় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান।
আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, যদি কোনো আসামি উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। আর পুলিশও যাতে বাড়াবাড়ি না করে, সেদিক খেয়াল রাখতে বলেছেন আদালত।
পরে শুনানি শেষে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে করা পৃথক দুটি মামলার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রবিবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনালে হাজির করার সময় হ্যান্ডকাফ পরানো নিয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান সাবেক দুই মন্ত্রী। এরপর বিচারকাজ শুরুর আগে, ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার সময় শাহজাহান খান তার হাতে হ্যান্ডকাফ দেখিয়ে বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমাকে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়েছে। এটা আমার জন্য অমর্যাদাকর। তার আইনজীবীও এই বিষয়টি আদালতের কাছে তুলে ধরেন। এসময় ট্রাইব্যুনালের বিচারক ‘কী হয়েছে’ তা জানতে পুলিশ সদস্যদের ডেকে পাঠান।
পুলিশ সদস্য নুরুন্নবী ট্রাইব্যুনালকে জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিদের এভাবে হাজির করা হয়। তখন আরেক পুলিশ সদস্য শহীদুল বলেন, প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় তাদের রাজাকারের বাচ্চা বলা হয় এবং বলা হয় তোদের দেখে নেবো।
শহীদুল বলেন আরও বলেন, হাসানুল হক ইনু পুলিশ সদস্যদের বলেন ‘তোদের চৌদ্দগোষ্ঠী খেয়ে ফেলবো’। হাজতখানায় এসে মিটিং করে ফের পুলিশ সদস্যদের হুমকি দেয়।
তবে কাঠগড়ায় থাকা হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, শাহজাহান খান, কামরুল ইসলাম বলেন, না না তারা এসব বলেনি। সব মিথ্যে কথা।
এর জবাবে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, যদি কোনো আসামি উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। আর পুলিশও যাতে বাড়াবাড়ি না করে সেদিক খেয়াল রাখতে হবে।