সংখ্যালঘু হামলার অধিকাংশ ঘটনাই কিন্তু ধর্মীয় কারণে হয়নি: তারেক রহমান
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
রাষ্ট্রে প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনের শাসনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেই আইনের শাসন ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বরকত উল্লাহ প্রমুখ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান বিশ্বে কে সংখ্যালঘু আর কে সংখ্যাগুরু, সেটা বড় বিষয় নয়। ইনসাফ এবং আইনের শাসন রয়েছে কিনা সেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাষ্ট্র ও সমাজে আইনের শাসন থাকলে আমরা সবাই নিরাপদ থাকব। দেশে আইনের শাসন ছিল না বলেই প্রধান বিচারপতি হয়েও এস কে সিনহাকে অবিচারের শিকার হতে হয়েছিল। পলাতক স্বৈরাচার আমলে দেশে আদালত আর আয়নাঘর প্রায় একাকার হয়ে গিয়েছিল।
তারেক রহমান নাগরিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষায় নির্বাচিত সরকারে গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমি মনে করি নিজ নিজ অধিকার রক্ষায় প্রত্যেক নাগরিকের ভোটের অধিকার একটি কার্যকরী এবং শক্তিশালী অস্ত্র। যত দিন পর্যন্ত দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে নিজের ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে জবাবদিহিমূলক একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম না হবেন, তত দিন পর্যন্ত কোনো নাগরিকেরই নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষিত নয়।
তারেক রহমান দেশে সংঘটিত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার খবর প্রসঙ্গে বলেন, সংখ্যালঘু হামলার অধিকাংশ ঘটনাই কিন্তু ধর্মীয় কারণে হয়নি। তদন্ত করলে দেখা যাবে এসব হামলার ঘটনার অধিকাংশই অবৈধ লোভ-লাভের জন্য, দুর্বলের ওপরে সবলের হামলা কিংবা এর নেপথ্যে অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার উদ্দেশ্য।