Logo
Logo
×

অভিমত

গণতন্ত্রের শক্তি, জনগণের দল— বিএনপি

সালাহউদ্দিন আহমেদ রায়হান

সালাহউদ্দিন আহমেদ রায়হান

প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০২ এএম

গণতন্ত্রের শক্তি, জনগণের দল— বিএনপি

স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষের  সবচেয়ে বড় আকাঙ্ক্ষা ছিল গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়া যা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা পদদলিত হয়েছিল। একটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের পর তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর দেশ পরিচালনায় চরম ব্যর্থতা, হত্যা, গুম এবং একদলীয় শাসন কাঠামো প্রণয়ন জনপরিসরে মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিন অধিকার বঞ্চিত মানুষ স্বাধীন বাংলাদেশেও থাকে অধিকার বঞ্চিত।  দুর্ভিক্ষ, দুর্নীতি দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করে।

বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর  জিয়াউর রহমানের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্যই ছিল দেশকে গণতন্ত্রহীন অবস্থা থেকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ করা। উনার একটা বিশ্বাস এবং বদ্ধমূল ধারনা ছিল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশেই কেবলমাত্র সুষম উন্নয়ন সম্ভব এবং সঠিক গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমেই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নত হবে।

প্রখ্যাত লেখক ও ব্রডকাস্টার ট্রেভর ফিশলক 

( Trevor Fishlock)  লন্ডনের দি টাইমস পত্রিকায় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে লিখেন — “ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দেশ চালানোর ধরনটা অনেকটা বেল(Bell) হেলিকপ্টারের মতো, যাতে প্রচণ্ড গতি সঞ্চার করলে সেটি চলতে শুরু করে। জিয়াউর রহমান তার ভিশন দিয়ে জনগণকে উদ্দীপ্ত করে দেশকে এগিয়ে নিতে চান।তিনি কোনো ফ্যানাটিক উন্মত্ত নন, বরং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আস্থাশীল একজন মানুষ। তিনি বিশ্বাস করেন, তার একটি বড় দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে আহ্বান জানানো ও উদ্বুদ্ধ করা।

তিনি করেনও তা-ই। বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র, সব চাইতে ঘনবসতিপূর্ণ এবং ৯ কোটি মানুষের দেশে তিনি ডাক দেন: উৎপাদন বাড়াও। দেশ গড়ো। সেচ বাড়াও। খাল খনন করো। দু'টি সন্তানই যথেষ্ট। “— রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান: শফিক রেহমান।

বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে মূল ভিত্তি এবং পূর্ব ঘোষিত ১৯ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়নকে মূল লক্ষ্য ঠিক করে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে তিনি বলেছেন সার্বিক জাতীয়তাবাদ। “বাঙালি জাতীয়তাবাদ” এর সীমাবদ্ধতা গুলো “বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে”র মাধ্যমে দূরীভূত হয়েছে। জিয়াউর রহমান তাঁর অনুসারী এবং দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক ক্লাস নিতেন এবং তাঁর লক্ষ্য-দর্শন ব্যাখ্যা করতেন। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে বসবাসকারী সব মানুষ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের অন্তর্ভুক্ত — বাংলাদেশি।

১৯ দফা কর্মসূচিতে দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব, সামাজিক ন্যায়বিচার, দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা, সমাজে নারীর যথাযোগ্য মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা, যুবসমাজকে সুসংহত করে জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ করা, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারি খাতে প্রয়োজনীয় উৎসাহদান, জনসংখ্যার বিস্ফোরণ রোধ করা, সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে জনসেবা এবং দেশ গঠনের মনোবৃত্তি উৎসাহিত করা,প্রশাসন ও উন্নয়ন ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ এবং স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করা, দুর্নীতিমুক্ত ন্যায়নীতিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা কায়েম করা, জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করা, সকল বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা এবং মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বিশেষ জোরদার করা— এরকম নানামুখী যুগান্তকারী কর্মসূচির সম্মিলন ঘটিয়েছিলেন।

তিনি মাইলের পর মাইল গ্রামেগঞ্জে হাঁটতেন বিএনপির দর্শন গণমানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিএনপিকে গণমানুষের প্রাণের ভেতরে পৌঁছে দেন। কারণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যখন দেখল; প্রেসিডেন্ট নিজে গ্রামে চলে এসেছে, অতি সাধারণ মানুষের সাথে হাত মিলাচ্ছে, নিজে কোদাল দিয়ে খাল খনন করছে— তখন গণমানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক দলের প্রতি ব্যাপক আস্থা জন্ম নিল। আর সেই আস্থার প্রতিফলন মানুষ পেল দেশের ক্রমাগত উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অনুশীলনের মাধ্যমে।

জিয়াউর রহমানের সততা ছিল সর্বজনবিদিত। তাঁর সততা তাকে মানুষের হৃদয়ে অনন্য স্থান করে নিতে সহায়তা করে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির গণভিত্তি সুদৃঢ় করে। এ সম্বন্ধে Trevor Fishlock বলেন—” যে দেশে দুর্নীতি সর্বব্যাপী, প্রেসিডেন্ট জিয়া সে দেশে ‘মি. ক্লিন’। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই, বরং তিনি স্বজনপ্রীতিকারীদের আতঙ্ক। এ জন্য তিনি কিছু লোকের কাছে অপ্রিয়ও।দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি যে অভিযান চালাবেন বলে শোনা যাচ্ছে, তাতে করে কোনো কোনো মহলের কাছে তিনি জনপ্রিয়তা হারাবেন। তবে প্রেসিডেন্ট জিয়া দেখিয়ে দিয়েছেন, তিনি এ ক্ষেত্রে হবেন খুবই কঠোর।”— রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান: শফিক রেহমান।

বিএনপির মাধ্যমেই দেশে ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক জগৎ আরও সমৃদ্ধ হয়। তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়,  মিনিস্ট্রি অব কালচারাল অ্যাফেয়ার্স গঠন করেন। শিশু কিশোরদের সাংস্কৃতিক মনকে উন্নত করার জন্য ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেন। দেশের তরুণদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতে তাদেরকে খাল খনন কর্মসূচি দেখানোর জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠাতেন এবং উন্মুক্ত সমালোচনার সুযোগ দিতেন। মেধাবী তরুণদের উৎসাহিত করার জন্য শিক্ষক-কবি ও ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে সমুদ্র ভ্রমণ করতেন।

পররাষ্ট্রনীতিতে বিএনপি অসামান্য অবদান রাখে।  বিশেষ করে সৌদি আরব এবং চায়নার কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায় করে। ওআইসি সহ অন্যান্য আরব দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে। ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে। তিনি ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখেছেন, ভারতের আধিপত্যবাদ মেনে নেননি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী Moraji Desai এর বাংলাদেশে (১৬ -১৮ এপ্রিল, ১৯৭৯) রাষ্ট্রীয় সফরে, একটি “joint river Commission” গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানো এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার করার জন্য তিনি ১৯৮০ সালে SAARC প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেন।

জিয়াউর রহমানের অসাধারণ নেতৃত্ব গুণাবলি, সততা, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং বিএনপিতে সুশিক্ষিত,  রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সমৃদ্ধ ব্যক্তিত্বের সম্মিলন খুব কম সময়ের মধ্যেই বিএনপিকে গণমানুষের দলে পরিণত করে। মানুষ বহুদিন পরে তাদের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র যেমন খুঁজে পায় ঠিক তেমনি অর্থনৈতিক ভাবেও সমৃদ্ধ হয়। জিয়াউর রহমানকে ১৯৮১ সালের ৩০ মে হত্যা করা হয়। এটা ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড— বাংলাদেশকে এবং বিএনপিকে নিঃশেষ করে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র। 

বিশ্ব বিবেককে এই হত্যাকাণ্ড প্রচণ্ডভাবে নাড়া দেয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী,  জাতিসংঘের মহাসচিব কার্ট ওয়াল্ডহেইম সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ গভীর শোক  জানায়।

জাতিসংঘের মহাসচিব  Kurt  Waldheim তার বিবৃতিতে বলেন— “ The Government and people of Bangladesh have lost a wise ruler, and the world, an outstanding statesman”— BRAIN website.

ভারতের প্রধানমন্ত্রী Indira Gandhi বলেন—” President Ziaur Rahman led his country with distinction, giving special attention to the problems of development. Zia's proposal for regional cooperation in South Asia revealed his statesmanlike vision”— BRAIN website

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন স্বৈরশাসকের অপচেষ্টায় বিএনপি তিনভাগে বিভক্ত হয়। মূল ভাগের নেতৃত্বে আসেন বেগম খালেদা জিয়া। গৃহবধূ থেকে রাজনীতিবিদ। বিএনপির যে ভিত্তি জিয়াউর রহমান গড়ে দিয়েছিলেন,  বেগম খালেদা জিয়া তাঁর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের মাধ্যমে সেই ভিতকে অনেক অনেক সুদৃঢ়  করেন। দীর্ঘ ৯ বছর নিরলস পরিশ্রম করে দলকে নেতৃত্ব দেন। বেগম জিয়ার ওয়াদার সততা তার  আপোসহীন মনোভাবকে পাকাপোক্ত করে। শত প্রলোভন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পরও তিনি রাষ্ট্র  নিয়ন্ত্রিত ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর অনেক রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী ও বিশ্লেষক ভেবেছিলেন,  বিএনপি দল হিসেবে টিকে থাকতে পারবে না। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তাদেরকে ভুল প্রমাণিত করেন। নিজে গুম হন, গৃহবন্দী হন, চরম নির্যাতন সহ্য করেন — কিন্তু তার আপোসহীনতার কারণেই গণ আন্দোলনে স্বৈরশাসক এরশাদের পতন হয়। 

এদেশে যতবারই গণতন্ত্র পথ হারিয়েছে — ঠিক ততবারই বিএনপির হাত ধরে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। জিয়াউর রহমান “ We Revolt” বলে যেমন বিদ্রোহ করেছিলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন,  ঠিক তেমনিভাবে একদলীয় বাকশাল থেকে দেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে এসেছেন। বেগম খালেদা জিয়াও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে করতে ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন  করেন। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন, নারীশিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ নজর দেন। 

বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। ১/১১ সরকার বিএনপির তৎকালীন  মহাসচিবের মাধ্যমে বিএনপিকে ভাঙার অপপ্রয়াস চালায়। বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়ে যায়। কিন্তু যেই দলের ভিত্তি গণমানুষের হৃদয়ে, সেই দলকে কোনোভাবেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিঃশেষ করা যায় না। বিএনপি পুনরায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনে নামে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ একটি ফেব্রিকেটেড নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপি তা মেনে নেয়। কিন্তু ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগ বেগম জিয়াকে তার বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে, জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন সহ জিয়াউর রহমানের নামে কুৎসিত অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। শুরু করে গুম, খুন।  বিরোধী দলের উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালাতে থাকে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে তিনটি কলুষিত নির্বাচন করে দেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে। বিএনপি ২০১৪ সাল থেকেই গণতন্ত্রের জন্য অবিরাম আন্দোলন করতে থাকে। ২০১৮ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশি রায় দিয়ে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার একটা চরম অপপ্রয়াস চালানো হয়। কিন্তু তারেক রহমান শক্ত হাতে বিএনপির হাল ধরেন। রাত দিন পরিশ্রম করে দলকে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর পিতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং মাতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিএনপির ইউনিয়নের কর্মীদের সাথেও কথা বলেন,  খোঁজ খবর নেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তাঁর প্রজ্ঞাময় নেতৃত্বে দীর্ঘ দিন পর বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে দলটিকে নানান ধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস,  নিপীড়ন সহ্য করে  জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করতে হয়েছে। বিএনপি দল হিসেবে সবসময়ই জনআকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ছে। বাংলাদেশে  বিএনপি মানেই গণতন্ত্র— গণতন্ত্র মানেই বিএনপি। বাংলাদেশের মানুষ মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের বহুল কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র  একমাত্র বিএনপি'র কাছেই নিরাপদ।

প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদ রায়হান, [email protected]

www.engr-salahuddin.com

Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন