পুরোনো ছবি
বাংলাদেশ আওয়ামী জাহেলিয়াত থেকে মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর প্রবল অত্যাচার, দুর্নীতি আর রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি থেকে দেশ স্বাধীন হয়েছে শত শত মানুষের রক্তের বিনিময়ে। এক রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় ভেঙে যায় অবৈধ আওয়ামী শাসন।
কিন্তু, আওয়ামী ভূত এখনো জাতির ঘাড় থেকে নামেনি। গত দেড় দশকে এরা বিপুল অর্থ লুটপাট করে বিদেশে সম্পদ করেছে, রাজনৈতিক শক্তি অর্জন করেছে। প্রতিবেশী ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকারকে সমস্ত রকম সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে আশ্রয় পেয়েছে। এখন জনগণের শক্তির কাছে তারা যখন মাথানত করতে বাধ্য হলো, তখন তারা আবার দেশের সর্বনাশ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দুই সপ্তাহ জুড়ে আমরা প্রকাশ্যে এবং গোপন অনেক ধরনের অপচেষ্টা দেখতে পাই। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে জনমণে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করেছে ডাকাত লেলিয়ে দিয়ে। সংবিধানের মারপ্যাচে বিচারকরা ক্যু করতে চেয়েছে। হিন্দুদের মারা হচ্ছে এই ধোয়া তুলে দেশে ও বিশেষত ভারতে অপপ্রচার করা হয়েছে। ভারতে মোদির পোষা গদি মিডিয়া এখনো প্রপাগান্ডা চালিয়েই যাচ্ছে। এরচেয়েও ভয়ংকর কথা হচ্ছে প্রশাসনসহ, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ অবস্থানে আওয়ামীপন্থীরা রয়ে গেছে। এরা সামনের দিনে দেশদ্রোহিতা করতে পারে বলে আশংকা আছে।
আমরা দেখেছি, আওয়ামী আমলে পুলিশ কতোটা জনবিরোধী হয়ে উঠেছিলো। নিজেদের অনুগত লোকজনতো ছিলোই, বিপুল টাকা ঘুষের বদলে নিয়োগ হতো পুলিশে। ফলে একদিকে পুলিশ যেমন হয়ে উঠেছিলো দমন-পীড়ন আর হত্যার যন্ত্র, অন্যদিকে ঘুষ-চাদাবাজির মচ্ছব চলতো পুলিশের ইঙ্গিতে।
জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী পুলিশের বিকটতম রূপ দেখা যায়। জনগণের রুদ্ররোষে তারা পালালেও ধীরে ধীরে দেশের স্বাভাবিকতা ফেরাতে আবার এদের বড় অংশকে পুনর্বহাল করা হচ্ছে। বিচার ছাড়া তড়িঘড়ি করে এদের বহাল করা দেশের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।
একইরকম ঘটনা ঘটতে পারে প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সবক্ষেত্রে। সংবাদমাধ্যমও বর্তমান সরকারকে বিপদে ফেলে আওয়ামী শক্তির পুনুরুত্থান ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে। আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ কতোটা ভয়ংকর। ক্ষমতার জন্য এরা পারে না এমন কিছু নেই। ফলে আওয়ামী লীগ যাতে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে না পারে এই নিয়ে আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে।