জুলাই ঐক্যের বিক্ষোভে নেতারা
‘র’-এর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাউকে উপদেষ্টা বানানো হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০০ পিএম

রাজধানীতে আইন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি এবং জুলাই গণহত্যার আসামিদের গোপনে জামিনে মুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণঅভ্যুত্থানের ঐক্যবদ্ধ জোট জুলাই ঐক্য। বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শিক্ষাভবন ঘুরে সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, সুস্পষ্ট ভিডিও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও জুলাই গণহত্যার আসামিদের গোপনে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের নির্দেশে এ জামিন প্রদান করে অভিযুক্তদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করা হয়েছে।
জুলাই ঐক্যের নেতারা বলেন, আইন উপদেষ্টাকে ‘র’-এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন বা ব্যক্তিগত ভোগবিলাসের জন্য বসানো হয়নি। শহীদদের রক্ত ও আহতদের আত্মত্যাগে তাকে উপদেষ্টা করা হয়নি। বাংলার মানুষ এমন উপদেষ্টাকে মসনদে দেখতে চায় না।
তারা আরও অভিযোগ করেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী আসামিদের গ্রেফতার না করে উল্টো তাদের সেফ এক্সিট দিয়ে পালাতে সহযোগিতা করছেন। এ সময় বক্তারা দাবি জানান—গণহত্যার সহযোগী দুই ব্যক্তিকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। যদি শহীদ গণহত্যাকারীদের জামিন দেওয়া হয় এবং আহত যোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত না করা হয়, তবে তারা রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, আন্দোলন শুরু হওয়ার প্রায় এক বছর হলেও দৃশ্যমান কোনো বিচার হয়নি। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। আহত যোদ্ধাদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং শহীদ পরিবারের মামলাগুলো জামিনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিক্ষোভে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ফেরদৌস, বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান (বীর প্রতীক), অবসরপ্রাপ্ত মেজর হায়দার, জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী, জুলাই রেভলুশনারি অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক সালেহ, জাগ্রত জুলাইয়ের সভাপতি বোরহান মাহমুদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।