Logo
Logo
×

সংবাদ

দুদকের প্রতিবেদন

ডিসি–এসপিও পেতেন পাথর লুটের টাকার ভাগ

Icon

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম

ডিসি–এসপিও পেতেন পাথর লুটের টাকার ভাগ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর লুটপাটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪২ জন রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে। তালিকায় বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা আছেন। এছাড়া লুটাপাটে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবির নিষ্ক্রিয়তা ও সহযোগিতা ছিল। সাদাপাথর এলাকায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়ে দুদক এসব তথ্য জানতে পেরেছে। 

দুদক সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে গত ১৩ আগস্ট পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এ অভিযান চালায়। পরে অভিযানে পাওয়া যাবতীয় তথ্য প্রতিবেদন আকারে ঢাকায় পাঠানো হয়। এটি গতকাল বুধবার জানাজানি হয়।

এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাৎ বলেন, সাদাপাথর লুটে বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য নথি খোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছে কমিশনের কাছে।’ এর বাইরে কোনো বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এনফোর্সমেন্ট অভিযান শেষে ঢাকায় পাঠোনো দুদক প্রতিবেদনে ছয়টি ক্যাটাগরিতে পাথর লুটে জড়িত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় এবং সরকারি সংস্থাগুলোর কার কী ভূমিকা ছিল, তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নিষ্ক্রিয়তা, লুটেরাদের কাছ থেকে কমিশন নেওয়াসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে।

যে ছয়টি ক্যাটাগরিতে দুদক পাথর লুটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার বিবরণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, এ ক্রমে প্রথমেই আছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। এরপর স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, রাজনীতিবিদ ও অন্যরা রয়েছেন। এর মধ্যে বিএমডি ও বিজিবির বিষয়ে পরবর্তী সময়ে অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করা যাবে বলে দুদক উল্লেখ করেছে।

‘পাথর–বাণিজ্যের কমিশন পান ডিসি-ইউএনও’

দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযানকালে সাদাপাথর এলাকায় দর্শনার্থী, ব্যবসায়ীসহ অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এতে তারা জানতে পেরেছে, জেলা প্রশাসক, ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি), তহসিলদারসহ (এ পদের বর্তমান নাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) অনেকেই অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর–বাণিজ্যের কমিশন পান। প্রতি ট্রাক থেকে ৫ হাজার এবং প্রতি বারকি নৌকা থেকে ৫০০ টাকা স্থানীয় প্রশাসন কমিশন পায়।

সিভিল প্রশাসনের ক্ষেত্রে কমিশনের ভাগ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে বণ্টন হয়ে থাকে বলে দুদক অভিযানকালে জানতে পেরেছে। সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দিষ্ট সোর্স ও কর্মচারীর মাধ্যমে কমিশনের টাকা সংগ্রহ করা হয়।

পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও লুটপাট ঠেকাতে সিলেটের জেলা প্রশাসক (গত সোমবার তাঁকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করে বদলি করা হয়) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সদিচ্ছার অভাব, অবহেলা, ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে বলে দুদক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। এ ছাড়া ডিসি তাঁর অধীন থাকা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র রক্ষায় সঠিক দিকনির্দেশনা দিতেও অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

গত এক বছরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিশেষ করে সাদাপাথর পর্যটন এলাকায় দিনদুপুরে উপজেলা প্রশাসনের গোচরেই পাথর লুটপাট হয়েছে বলে দুদক উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, লুটপাট চলাকালে বিভিন্ন সময়ে উপজেলাটিতে চারজন ইউএনও দায়িত্বরত ছিলেন। তাঁরা হলেন আবিদা সুলতানা, ঊর্মি রায়, মোহাম্মদ আবুল হাছনাত ও আজিজুন্নাহার (গত সোমবার তাঁকে বদলি করা হয়)। তাঁরা নামমাত্র ও লোকদেখানো কিছু ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া পাথর লুট বন্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেননি।

এদিকে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী পাথর লুটপাটকে প্রশ্রয় দিয়েছেন বলে দুদক উল্লেখ করেছে। তাদের পর্যবেক্ষণ এমন, ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি নির্দেশে পাথর তোলা নিষিদ্ধ রয়েছে। অথচ গত ৮ জুলাই বিভাগীয় কমিশনার তাঁর কার্যালয়ে পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, পরিবহনশ্রমিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, ‘সারা দেশে পাথর উত্তোলন করা গেলে সিলেটে যাবে না কেন? এর সঙ্গে মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িত।’ তাঁর এ বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে তা সাদাপাথর লুটপাটের ক্ষেত্রে ব্যাপক উৎসাহ জুগিয়েছে।

তবে গতকাল বিভাগীয় কমিশনার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এক মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘গত ৮ জুলাই আমরা ইজারা নিয়ে কথা বলেছি। পাথর চুরি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। পাথরচোরদের উৎসাহিত করার মতো কিছু আমি বলিনি। তেমন কিছু কেউ বললে বা ছড়ালে সেটা ভুল মেসেজ।’

এদিকে গত সোমবার বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হয়ে সদ্য বিদায়ী সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ দুই দিন আগে বলেন, ‘সাধ্যমতো পাথর লুট ঠেকাতে চেষ্টা করেছি। আমার কোনো নিষ্ক্রিয়তা ছিল না।’ এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জের সদ্য বিদায়ী ইউএনও আজিজুন্নাহার সোমবার বলেন, ‘পাথর লুটকারীদের সহায়তা করে একটি টাকা নিয়েছি—এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।’  

‘ভাগ পান এসপি-ওসিও’

এনফোর্সমেন্ট অভিযানকালে দুদক জানতে পেরেছে, প্রতি ট্রাকে অবৈধভাবে উত্তোলিত প্রায় ৫০০ ঘনফুট পাথর লোড করা হয়। পরিবহনভাড়া ছাড়া প্রতি ট্রাক পাথরের দাম ধরা হয় ৯১ হাজার টাকা। প্রতি ঘনফুট পাথরের দাম ১৮২ টাকা। এর মধ্যে প্রতি ট্রাক থেকে ৫ হাজার টাকা পুলিশ এবং ৫ হাজার টাকা প্রশাসনের জন্য আলাদা করা হয়। বাকি ৮১ হাজার টাকা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন।

দুদক জানিয়েছে, পুলিশের কমিশনের টাকা এসপি, সার্কেল এএসপি, ওসি ও আরও কিছু পুলিশ সদস্য পান। এ ছাড়া অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত প্রতিটি বারকি নৌকা থেকে পুলিশের কমিশনবাবদ ৫০০ টাকা তোলা হয়। পুলিশ নির্দিষ্ট সোর্সের মাধ্যমে প্রতিটি ট্রাক ও নৌকা থেকে এ চাঁদা সংগ্রহ করে।

এদিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানসহ থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের কমিশন গ্রহণ করে সাদাপাথর লুটপাটে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন বলে দুদক পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেটের এসপি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু তারা (দুদক) বলেছে, তাই তাদেরই এখন বিষয়টা প্রমাণ করতে হবে। একটা মনগড়া, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে দিলেই তো হবে না।’ এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কোম্পানীগঞ্জের ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান রিসিভি করেননি। তাই তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

পাথর লুটপাটে ৪২ জন রাজনীতিক, পাথর ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা এনফোর্সমেন্ট অভিযানকালে পাওয়া গেছে বলে দুদক উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে বিএনপির ২১ জন (একজন বহিষ্কৃত নেতা), জামায়াতের ২ জন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ২ জন, আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ৭ জন রয়েছেন। অন্যদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি।

রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, মহানগর জামায়াতের আমির মো. ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, এনসিপির জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন, মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি (পদ স্থগিত) সাহাব উদ্দিনের নাম আছে।

এ ছাড়া পাথর ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য হাজী কামাল, উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি লাল মিয়া, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে দুদু, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমদ বাহার ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুসতাকিন আহমদ ফরহাদ, আওয়ামী লীগের কর্মী বিলাল মিয়া, শাহাবুদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিনের নাম রয়েছে।

আরও পড়ুন

কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’

১৮ আগস্ট ২০২৫

কঠোর অভিযানের মধ্যে কৌশলে পাথর ‘লুট’ 

তালিকায় থাকা অন্যরা হচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক দুলাল মিয়া ওরফে দুলা, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রজন মিয়া, যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন ও তাঁর ভাই সাজন মিয়া, উপজেলা বিএনপির কর্মী জাকির হোসেন, সদস্য মোজাফর আলী ও মানিক মিয়া, আওয়ামী লীগের কর্মী মনির মিয়া (অন্য মামলায় সম্প্রতি গ্রেপ্তার), হাবিল মিয়া ও সাইদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল ওদুদ আলফু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মকসুদ আহমদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পদ স্থগিত) রফিকুল ইসলাম ওরফে শাহপরান ও বহিষ্কৃত কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম স্বপন, জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, গোয়াইনঘাটের পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স উল্লেখযোগ্য।

দুদক অভিযানকালে জানতে পেরেছে, উপরিউক্ত ৩১ জন রাজনৈতিক নেতা প্রভাব–প্রতিপত্তি প্রদর্শন করে স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে কয়েক হাজার শ্রমিককে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ তথা সাদাপাথর লুটপাট করেছেন। এতে তাঁরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।

এই ৩১ জন ছাড়াও ‘অন্যান্য’ ক্যাটাগরিতে আরও ১১ ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁরা হলেন আনর আলী, উসমান খাঁ, ইকবাল হোসেন আরিফ, দেলোয়ার হোসেন জীবন, আরজান মিয়া, জাকির, আলী আকবর, আলী আব্বাস, মো. জুয়েল, কোম্পানীগঞ্জের পূর্ব ইসলামপুর ২ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম ও সিলেট নগরের মীরবক্সটুলা এলাকার জামেয়া ইসলামিয়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মুকাররিম আহমেদ।

এ ছাড়া সাদাপাথর লুটে জড়িত ও সুবিধাভোগী হিসেবে কয়েকজন সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশার মানুষের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলে দুদক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। তবে তাঁদের নাম তালিকায় নেই।

দুদকের প্রতিবেদন জানাজানি হওয়ার পর গতকাল বুধবার বিকেলে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান ব্যাখা করেন। তাঁরা বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, কোনোভাবেই এই অপকর্মের সঙ্গে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।’

মহানগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন বলেন, তাঁদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এতে প্রকৃত সত্য আড়াল হচ্ছে। একটা স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের জাতির সামনে বের করা দরকার। যাঁরা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন, সেটা দুঃখজনক।

এদিকে এনসিপির জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন ও মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী তাঁদের ওপর আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা জানান, সাদাপাথর লুটে তাঁদের তিল পরিমাণ সংশ্লিষ্টতা নেই। এটা বিভ্রান্তিকর ও মানিকর।

দুদক অভিযানের সময় জানতে পেরেছে, বিএমডি সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনা প্রতিরোধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার বিএমডির। অথচ তারা সেটা করেনি।

টাকা পেয়ে চুপ থেকেছে বিজিবিও

সাদাপাথর এলাকায় তিনটি বিজিবি ক্যাম্প/পোস্ট আছে বলে দুদক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। দুদক বলছে, এসব ক্যাম্প থেকে সাদাপাথরের দূরত্ব ৫০০ মিটারের কম। এত কম দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও কোম্পানী কমান্ডার ইকবাল হোসেনসহ বিজিবি সদস্যদের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীরা খুব সহজেই পাথর লুটপাট করতে পেরেছেন।

যোগাযোগ করলে ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, ‘এ তথ্যের (দুদকের তথ্য) কোনো সত্যতা নেই। এটা মিথ্যা। কিসের ভিত্তিতে এমন কথা বলা হলো, জানি না।’

সূত্র: প্রথম আলো

Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন