বাধ্যতামূলক ছুটিতে বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুল ইসলাম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু আলোচিত ভিডিওর প্রেক্ষিতে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে গঠন করা হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি, যার তত্ত্বাবধানে থাকছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর এবং দুজন নির্বাহী পরিচালক। তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।
এই ঘটনার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরে থেকেই উঠেছিল অসন্তোষের সুর। বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা গভর্নরের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন, যেখানে তাঁরা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কিছু ভিডিওর উল্লেখ করে বলেন—এতে রাষ্ট্রীয় ও প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। স্মারকলিপিতে আরও অভিযোগ ছিল, এএফএম শাহীনুল ইসলাম একটি স্থগিত ব্যাংক হিসাব থেকে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছেন, যেটি ছিল এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর নামে। বিষয়টি সংবেদনশীল একটি ইউনিটের প্রধান হিসেবে তাঁর নিরপেক্ষতা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন যে ভিডিও সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের আগস্টে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরে চলমান একটি আন্দোলনের মুখে পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তৎকালীন বিএফআইইউ প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস। দীর্ঘ সময় শূন্য থাকার পর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব পান শাহীনুল ইসলাম। গভর্নরের নেতৃত্বে গঠিত সার্চ কমিটির সুপারিশে তাঁর নাম না থাকা সত্ত্বেও তিনি এ পদে নিয়োগ পান, যা তখন থেকেই প্রশ্ন তুলেছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও।