
ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নিতাই হত্যার মামলায় অবশেষে রায় দিয়েছে আদালত। দীর্ঘদিন বিচার প্রক্রিয়া চলার পর ঢাকার দশম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার দশজন আসামির মধ্যে পাঁচজন—কামরুল হাসান অরুণ, মাসুম মিন্টু, সাইদ ব্যাপারী, বকুল মিয়া ও সাইদ মিজিকে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। আমৃত্যু কারাদণ্ড পেয়েছেন আবুল কালাম, সাইদুল, ফয়সাল ও পেদা মাসুম। আর রফিকুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন সাজা।
প্রসিকিউটর মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, রায় ঘোষণার সময় কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা ঘোষণা শেষে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১২ সালের ২৩ আগস্ট রাতে মহাখালীতে হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় খুন হন ডা. নিতাই। ঘটনাস্থলে তখন ছিলেন শুধু তার মা, আর স্ত্রী লাকী চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামে। ঘটনার পরদিন বনানী থানায় মামলা করেন নিতাইয়ের বাবা। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়।
তদন্তে উঠে আসে, আসামিরা ছিলেন পেশাদার চোর। চুরির সময় ধরা পড়ে যাওয়ায় তারা নির্মমভাবে হত্যা করেন ডা. নিতাইকে। তারা বাসা থেকে নিয়ে যায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা আর দুটি স্বর্ণের বালা। জানা যায়, আসামিদের একজন, অরুণ, ছিলেন নিতাইয়ের ব্যক্তিগত গাড়িচালক।
মামলাটির আরও একটি দিক ছিল আলোচিত, কারণ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। সেই মামলার আজও কোনও নিষ্পত্তি হয়নি।
২০১৩ সালে অভিযোগ গঠন করার পর কয়েকবার বিচারক বদল হলেও অবশেষে রোববার রায় ঘোষণা হলো। আদালত দশজনকেই দোষী সাব্যস্ত করেছে, যার মধ্যে পাঁচজনের অপেক্ষা এখন ফাঁসির দড়ির।