Logo
Logo
×

সংবাদ

সরকারি দপ্তর কিংবা বিদেশি মিশনে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের ছবি থাকছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:০৮ পিএম

সরকারি দপ্তর কিংবা বিদেশি মিশনে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের ছবি থাকছে না

সরকারি দপ্তরগুলোতে কিংবা বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে এখন আর প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের কোনো ছবি টাঙানো থাকছে না। ছবি সরানোর কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনেকে বলছেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের অন্য কোনো শীর্ষ ব্যক্তির ছবি ঝোলানো নেই, সেখানে কেবল প্রেসিডেন্টের ছবি রাখার প্রয়োজনই বা কী। লিখিত কোনো নির্দেশ না এলেও বিভিন্ন জায়গায় টেলিফোনে জানানো হচ্ছে— ছবি নামিয়ে ফেলতে হবে। সর্বশেষ ১৫ আগস্ট লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকেও প্রেসিডেন্টের ছবি নামানো হয়েছে।

এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, প্রায় এক বছর পার হয়ে গেলেও আগে কেন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো না। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সব আয়োজন প্রায় ঠিকও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আপত্তি তোলা হয়। বলা হয়, এই সময় বিদেশ ভ্রমণ হলে দেশ এক ধরনের সাংবিধানিক অচলাবস্থার মুখে পড়বে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট অনুপস্থিত থাকলে দায়িত্ব নেওয়ার কথা স্পিকারের। কিন্তু তিনি ইতিমধ্যে পদত্যাগ করে নিরাপদ জায়গায় চলে গেছেন। ডেপুটি স্পিকার আছেন কারাগারে। ফলে প্রশ্ন উঠছে— তখন দায়িত্ব কার হাতে যাবে? নিয়ম মেনে প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব পেতে পারেন, তবে সেটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সম্ভবত এসব কারণেই প্রেসিডেন্টের বিদেশ যাওয়া আটকে দেওয়া হয়েছে। আর ছবি নামানোর বিষয়টিও সেই ধারাবাহিকতার অংশ বলে অনেকেই মনে করছেন।

এদিকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যাও সামনে আসছে। কেউ কেউ বলছেন, এর মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধও রয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গন এমনিতেই অস্থির, তার মধ্যে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নতুন করে আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। অভ্যুত্থান ঘিরে যাঁরা বরাবরই প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন, তারাও বিষয়টিকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করছেন। এমনকি কয়েক দফা বঙ্গভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচিও দিয়েছিল কিছু গোষ্ঠী। নানা চাপ তৈরি হলেও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনড় অবস্থানের কারণে সে উদ্যোগ সফল হয়নি। তবে নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের অস্থিরতা রাজনীতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। পরিস্থিতি এমন যে, অনেকেই আশঙ্কা করছেন— হঠাৎ করেই অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটে যেতে পারে।


Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন