শেখ হাসিনা সরকারের নজরদারি সরঞ্জাম ক্রয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময় দেশে নজরদারির সরঞ্জাম ক্রয়ের বিষয় খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটি খতিয়ে দেখবে কীভাবে, কোথা থেকে এবং কত দাম দিয়ে এসব যন্ত্র কেনা হয়েছে এবং কীভাবে এর ব্যবহার হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, নজরদারি যন্ত্রপাতি বিগত সরকারের সময়ে কেউ বলছেন প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারে কেনা হয়েছে, কেউ বলছেন ২০০ মিলিয়ন ডলারে। পুরো রিপোর্টে আমরা যা পড়েছি সেখানে স্পষ্ট—গত স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের মানুষের নাগরিক অধিকার হরণের জন্য নজরদারির যন্ত্রপাতি ও স্পাইওয়ার ব্যবহার করেছে। এই অবৈধ নজরদারির মাধ্যমে নাগরিকদের ন্যূনতম বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সংবিধানে প্রদত্ত গোপনীয়তার অধিকারও তারা খর্ব করেছে।
‘উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কমিটি গঠন করা হয়েছে তদন্তের জন্য। কত টাকা দিয়ে এগুলো কেনা হয়েছে, কোথা থেকে কেনা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অনেক কিছু ইসরায়েল থেকে কেনা হয়েছে। এই বিষয়গুলো কমিটি খতিয়ে দেখবে,’ যোগ করেন তিনি।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), পুলিশ ও র্যাব যৌথভাবে ১ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা মূল্যের নজরদারি সরঞ্জাম ক্রয় করেছে।
তিনি বলেন, পুলিশের জন্য কীভাবে মারণাস্ত্র কেনা হয়েছিল তা নিয়েও রিপোর্ট হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কীভাবে এগুলো কেনা ও ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তেজগাঁওস্থ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।