
হজে যাওয়ার জন্য শারীরিকভাবে সক্ষম না এমন কাউকে আর সৌদি আরবে পাঠানো হবে না—এ বিষয়ে কড়া অবস্থানের কথা জানালেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘হজ ও উমরাহ ফেয়ার ২০২৫’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন।
তিনি বলেন, “গতবার এমন হাজিও গেছেন যার পা নেই। এমনকি স্ত্রী ও জামাতারও পা নেই—তাদের কীভাবে অনুমতি দেওয়া হলো? আবার কেউ গুরুতর চর্মরোগে আক্রান্ত, কেউ মানসিকভাবে অসুস্থ—এদের অনেককেই এজেন্সি দায়িত্বহীনভাবে পাঠিয়েছে। একজন তো হজের আগেই হারিয়ে গিয়েছিলেন, আর ফিরে পাওয়া যায়নি।”
উপদেষ্টা জানান, অর্থের লোভে শারীরিকভাবে অক্ষমদের পাঠানো অনৈতিক। এবার সিভিল সার্জন ও হাবের (হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) পরামর্শক্রমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া কারও অনুমোদন দেওয়া হবে না।
খালিদ হোসেন জানান, সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশি হাজিদের খাবার, টয়লেট, আবাসন ও পানি সংকটের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, “মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতে টয়লেটের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়, ফলে হাজিদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হয়। মুজদালিফায় শেষ রাতে পানি থাকে না—আমাকে মিনারেল ওয়াটার দিয়ে অযু করতে হয়েছে। আর আবাসন ব্যবস্থাও অনেক খারাপ—যতটুকু জায়গা দেওয়া হয়, তাতে শোয়া যায় না।”
এজেন্সি মালিকদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা বিরোধী নই, বরং একসঙ্গে কাজ করব। সৌদির নির্ধারিত সময়সীমা মেনে চলতে হবে। বিমানভাড়া নির্ধারণের আলোচনায় হাবের প্রতিনিধি রাখা হবে। আর কেউ যদি ঘুষ নেয়, সে মন্ত্রণালয়ের হোক বা এজেন্সির, কঠোর শাস্তি পেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জর্দা, তামাক বা সিগারেট নিয়ে সৌদি আরবে যাওয়া যাবে না—ওখানে এগুলো মাদক হিসেবে গণ্য হয়, যা আমাদের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর।”
হজ ব্যবস্থাপনা যাতে মধ্যস্বত্বভোগীর হাত থেকে মুক্ত থাকে, সেজন্য হাবের সহযোগিতা চেয়েছেন উপদেষ্টা।