
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গেল বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক ৪০ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার করেছে সরকার। এসব কর্মকর্তাদের মধ্যে ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও পুলিশ পরিদর্শক রয়েছেন। তারা সবাই পলাতক ও সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় রয়েছেন।
আজ রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে সই করেছেন সিনিয়র সহকারী সচিব তৌছিফ আহমেদ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৪০ কর্মকর্তার ২০১০, ১১, ১৩, ১৪, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২২ সালে প্রদান করা পুলিশ পদক প্রত্যাহার করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, পদক প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যদের অনুকূলে পদক সংক্রান্ত আর্থিক সুবিধাদি বন্ধ করা হলো এবং ইতঃপূর্বে পদক সংক্রান্ত গৃহীত যাবতীয় অর্থ ফেরত প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
পদক প্রত্যাহার হওয়া সদস্যরা হলেন— ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নূরুল ইমলাম, সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ, ডিআইজি নূরে আলম মিনা, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকার, এসএম মেহেদী হাসান, সঞ্জিত কুমার রায়, মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, ম্যামল কুমার মুর্খাজী, রিফাত রহমান শামীম, কাজী আশরাফুল আলম, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সুদীপ কুমার চর্কবর্তী, মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, আয়েশা সিদ্দিকা। পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, মো. শাহজাহান, মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, মানস কুমার পোদ্দার, গোলাম মোস্তফা রাসেল, আরিফুর রহমান মন্ডল, ইকবাল হোসাইন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, হাসান আরাফাত রহমত উল্লাহ চৌধুরী, এসএম জাহাঙ্গীর হাছান, রুবাইয়াত জামান, শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম, ইফতেখারুল ইসলাম, রওশানুল হক সৈকত, মিশু বিশ্বাস। সহকারি পুলিশ সুপার গোলাম রুহানী। পুলিশ পরিদর্শক মেজবাউদ্দিন আহাম্মেদ, মশিউর রহমান, বিএম ফরমান আরী, নূরে আলম সিদ্দিকী, কাজী মাইনুল ইসলাম, অপূর্ব হাসান, মো. শাহজাহান, শেখ আমিনুল বাশার ও জাকির হোসাইন।