সাংবাদিক তুহিনকে হত্যা করা হয় কোপানোর ঘটনা ভিডিও করায়: পুলিশ

এক ব্যক্তিকে কোপানোর ঘটনা ভিডিও করায় গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ বলছে, তিনি এক নারী ও এক ব্যক্তির মধ্যে বিবাদের পরবর্তী হামলার দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করছিলেন। ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি বাদশা মিয়া নারীটিকে আঘাত করলে সন্ত্রাসীরা নারীর পক্ষ নিয়ে বাদশা মিয়াকে কোপায়। এ সময় বাদশা মিয়া পালিয়ে গেলে তুহিন পাশ থেকে ভিডিও করেন। ভিডিও মুছে ফেলতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীরা তাকে ধাওয়া করে এবং ঈদগাহ মার্কেটের সামনে ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে হত্যা করে।
৩২ বছর বয়সী তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে চান্দনায় থাকতেন এবং সাংবাদিকতার পাশাপাশি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির কাজ করতেন। ঘটনার সময় এলাকায় লোকজন থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। বন্ধু ও সহকর্মী শামীম হোসেন জানান, তারা একসঙ্গে হাঁটছিলেন, তখনই ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ বলছে, নারীটি প্রতারণা ও লুটপাটে জড়িত একটি চক্রের সদস্য। বাদশা মিয়া শেরপুরের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার কর্মী, বর্তমানে আহত অবস্থায় হাসপাতালে। পুলিশ ফুটেজ ও প্রমাণ বিশ্লেষণ করে ঘটনার পেছনের কারণ ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।