জুলাই ঘোষণাপত্রে আবারও বিজয় বেহাত হবার লক্ষণ স্পষ্ট: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

ছবি: সংগৃহীত
জুলাই ঘোষণাপত্রে আবারও বিজয় বেহাত হবার লক্ষণ স্পষ্ট বলে আশঙ্কা করছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। আজ বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে জুলাই ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলনে দলটির আহ্বায়ক হাসনাত কাইয়ূম এ আশঙ্কার কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে হাসনাত কাইয়ূম বলেন, গতকাল ঐতিহাসিক ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে জাতির অন্যতম আকাঙ্ক্ষা জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করা হয়েছে। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা, আমরা মনে করি অভ্যুত্থানের আইনি বৈধতা নিশ্চিত করতে এবং সামনের দিনে ফ্যাসিবাদ আবারও ফিরে আসার পথে বাধা তৈরিতে এই ঘোষণাপত্র গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা একই সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, জুলাই ঘোষণাপত্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে নাই। জাতির সামগ্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে পারে নাই। অভ্যুত্থানের সুফল নিশ্চিত করার কোন সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারে নাই। ঘোষণাপত্র জাতিকে অনুপ্রাণিত না করে চব্বিশ নিয়ে জাতির মধ্যে পরিবর্তনের যতটুকু আশা ছিল সেটাকে লক্ষ্যহীন করে দিয়েছে। এ ঘোষণাপত্রে আবারও বিজয়ের সুফল বেহাত করার ইঙ্গিত স্পষ্ট। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এই ঘোষণাপত্র সহ আনুষঙ্গিক কিছু স্পষ্ট সতর্কতা জাতির সামনে উত্থাপন করছে।
হাসনাত কাইয়ূম বলেন, সরকার সংবিধান সংস্কার ও সংবিধান সংশোধনীর মধ্যে পার্থক্য করতে ব্যর্থ। দলীয় সরকার গঠন ও পরিচালিত হয় সংবিধানের উপর ভিত্তি করে। ফলে সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সে সরকারের একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হয়ে উঠে। একান্ত প্রয়োজনে সংবিধানের ছোটখাট সংশোধনী করার এখতিয়ার রাখলেও মৌলিক কোন সংস্কার করার এখতিয়ার কোন দলীয় সরকারের থাকে না। তারপরও কোন দলীয় সরকার সংবিধানের কোন মৌলিক সংস্কার করলে তা পরবর্তী দলীয় সরকার ও বিচার বিভাগের এখতিয়ারভুক্ত থাকে। টেকসই হতে পারে না। কিন্তু জুলাই ঘোষণাপত্রের ২৫ ও ২৭ অনুচ্ছেদে আগামী জাতীয় সংসদের উপর সংবিধান সংস্কারের দায় দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা বিপদজনক বলে মনে করি আমরা।