Logo
Logo
×

সংবাদ

রাবিতে নিয়োগে সুপারিশ ঘিরে বিতর্ক: সহ-উপাচার্যের স্টোরিতে জামায়াত নেতার নাম, স্টোরি সরিয়ে ব্যাখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম

রাবিতে নিয়োগে সুপারিশ ঘিরে বিতর্ক: সহ-উপাচার্যের স্টোরিতে জামায়াত নেতার নাম, স্টোরি সরিয়ে ব্যাখ্যা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের একটি ফেসবুক স্টোরিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্টোরি পোস্ট করেন, যেখানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য একজন চাকরিপ্রার্থীর প্রবেশপত্রে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য মো. লতিফুর রহমানের সুপারিশপত্র দেখা যায়। বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায় এবং তা ঘিরে নানা প্রশ্ন ও সমালোচনা উঠে।

পরে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন স্টোরিটি মুছে দিয়ে একটি ব্যাখ্যামূলক স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, বিষয়টি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে। প্রতিদিন অনেক আবেদনকারী সিভি ও প্রবেশপত্র জমা দেন এবং নানা মাধ্যমে সুপারিশ আসে। একটি ফোনকলের সূত্রে ওই প্রার্থীর তথ্য পেয়েছিলেন তিনি। তবে এসব সুপারিশের প্রভাব নিয়োগে পড়ে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান জানান, প্রার্থীর বিষয়ে সহ-উপাচার্যকে ফোন করেছিলেন ঠিকই, তবে প্রবেশপত্রে সুপারিশ লেখা হয়েছে, তা তিনি জানতেন না। তিনি বলেন, পূর্বের কিছু ভাইভায় অনিয়ম হয়েছে বলে তিনি প্রার্থীর ফল ভালো উল্লেখ করে তাঁর আবেদনটি দেখার অনুরোধ করেছিলেন।

ঘটনাটিকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সুপারিশকারীদের নাম প্রকাশের দাবি জানান, কেউ লিখিত পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। কারও মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগব্যবস্থাকে দলীয় রাজনীতির প্রভাব থেকে মুক্ত করা দরকার।

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ বা তদবিরের সংস্কৃতি এখনো বন্ধ হয়নি। মানসিকতার পরিবর্তন না এলে কাঙ্ক্ষিত স্বচ্ছতা আসবে না।


Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন