জুলাই হত্যাকাণ্ড
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্দেশদাতাদের বড় অংশের বিচার শেষ হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম
-6888976036ec9.jpg)
জুলাই হত্যাকাণ্ডে নির্দেশদাতাদের একটি বড় অংশের বিচার এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘জুলাই গণহত্যার বিচার, আলোচনা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ হবে আগামী ৩ আগস্ট।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গণহত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কখনোই মোবাইল কোর্টের মতো দ্রুত সম্পন্ন করা যায় না। এই বিচার প্রক্রিয়ার পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, আসামিদের অধিকার, আইনি শুদ্ধতা ও প্রক্রিয়াগত সময়।’ তিনি জানান, তারা সেপ্টেম্বর মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর নভেম্বর পর্যন্ত আদালতের কাঠামো ও কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে সময় লেগেছে। তবে তার পরবর্তী সময়ে, ছয় মাসের কম সময়েই প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পেরেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা, যা বিচার প্রক্রিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
চিফ প্রসিকিউটর আরও জানান, বর্তমানে চারটি মামলার বিচার কার্যক্রম আদালতে চলমান রয়েছে এবং এসব বিচার উন্মুক্তভাবে পরিচালিত হচ্ছে। অনেক অংশ লাইভ সম্প্রচারও করা হয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে শনিবার (৩ আগস্ট)। এই মামলার সাক্ষী নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘১০ কোটির বেশি মানুষের সাক্ষ্য থাকলেও আমরা এমন সাক্ষীদেরই বাছাই করেছি যাদের মাধ্যমে মামলার মূল অপরাধ প্রমাণ করা সম্ভব হবে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, অনেকে আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, এত দিনেও কোনো রায় হলো না। কিন্তু যারা বিচারপ্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছেন তারা বুঝতে পারেন না, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার একটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। সাধারণ ফৌজদারি মামলার সঙ্গে এই বিচারব্যবস্থার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আলাদা।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের তদন্ত কর্মকর্তারা মূলত সাধারণ অপরাধ তদন্তে অভ্যস্ত ছিলেন। অথচ এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো জটিল বিষয়ে তদন্ত করতে হয়েছে। তারপরও নিরপেক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতা বজায় রেখে তারা কাজ করেছেন।”
আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের। অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত মানুষের জন্য দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে ‘ট্রায়াল অব জুলাই কার্নেজ’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।