Logo
Logo
×

সংবাদ

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ২৯, আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও বহু শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৪ এএম

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ২৯, আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও বহু শিশু

ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ২৯ জনে। সর্বশেষ জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৯ বছর বয়সী শিশু আরিয়ান আশরাফ নাফি মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে মৃত্যুবরণ করে। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ অংশ আগুনে দগ্ধ হয়েছিল এবং সে আইসিইউতে ছিল।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা ৬৭ জন এখনও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন, যাদের অধিকাংশই শিশু এবং অনেকেই দগ্ধ অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৩ জন, সিএমএইচে ২১ জন, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন করে চিকিৎসাধীন।

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ১০ জনকে আপাতদৃষ্টিতে শঙ্কামুক্ত বলা গেলেও ৩০ জন রয়েছেন এমন অবস্থায় যাদের জীবনহানি এখনও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।” তিনি জানান, চিকিৎসাধীনদের মধ্যে কয়েকজন ভেন্টিলেটরে আছেন এবং সবাইকে ঘিরে নিবিড় পর্যবেক্ষণ চলছে।

এ পর্যন্ত ২২টি মরদেহ শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, তবে এখনও ৬টি মৃতদেহ অজ্ঞাত রয়েছে, যেগুলোর পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ প্রোফাইলিং শুরু হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু হতাশাজনকভাবে এখন পর্যন্ত কেবল একটি পরিবারের পক্ষ থেকে ডিএনএ নমুনা দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় থেকে রাতে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিখোঁজদের স্বজনদের উদ্দেশে আহ্বান জানানো হয়েছে, যারা এখনো স্বজনের খোঁজ পাননি এবং তাদের নাম আহত বা নিহতদের তালিকায় নেই, তারা যেন মালিবাগে সিআইডির অফিসে গিয়ে ডিএনএ নমুনা দিয়ে সহযোগিতা করেন।

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পরই একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় প্রায় দেড় শতাধিক শিশু ও শিক্ষক-শিক্ষিকা আহত হন, এবং এখন পর্যন্ত ২৯ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

যে শিশুরা এখনও বেঁচে আছে, তাদের অনেকে চরম ঝুঁকির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। চিকিৎসকেরা দিনরাত চেষ্টা করছেন প্রাণ রক্ষার জন্য, তবে শারীরিক ক্ষত গভীর এবং জটিল হওয়ায় আশঙ্কা কাটছে না।

Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন