মাইলস্টোন স্কুলে বিধ্বস্ত চীনের তৈরি বিমানটির ইতিহাস কী?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১টা ১৮ মিনিটের দিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
বিধ্বস্ত বিমানটি চীনের তৈরি এফ-৭ বিজেআই মডেলের যুদ্ধবিমান। এটি চীনের চেংডু J-7 যুদ্ধবিমানের একটি রপ্তানি সংস্করণ এবং মূলত ইন্টারসেপ্টর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি তৃতীয় প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের legendary MiG-21 এর লাইসেন্সড বিল্ড ভার্সন। চীন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়ার বিমানবাহিনীতে ব্যবহৃত হয়।
এফ-৭ বিজেআই মডেলের যুদ্ধবিমান সর্বশেষ ২০১৩ সালে উৎপাদিত হয়েছে। সেসময় প্রায় ৩৬টি বিমান কেনে বাংলাদেশ। চীন ২০১৭ থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে অফিশিয়ালি তাদের J-10 যুদ্ধবিমানের লেটেস্ট ভার্সন J-10C অফার করছে পুরাতন যুদ্ধবিমানের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে। বছর দুয়েক আগেই চীন সরকার এই মডেলকে ডিকমিশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিসর, আলবেনিয়া এই মডেল ব্যবহার অলরেডি বাদ দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
বাংলাদেশে চাইনিজ এই ট্রেইনিং বিমানে আগেও পৃথক দুটি দুর্ঘটনা ঘটেছে । তাছাড়া যে সকল দেশ এ বিমানটি ব্যবহার প্রায় সবাই কমবেশি দুর্ঘটনার শিকার।
২০১৫ সালে পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম মহিলা পাইলট এই বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। মাত্র এক মাস আগে ১৭ জুন মিয়ানমারে এই একই বিমান বিধ্বস্ত হয়ে চারজন সিভিলিয়ান মারা গেছে। চীনে এই বিমান বিল্ডিংয়ে ধাক্কা দিয়ে একজন মারা যাওয়ার কিছুদিন পরেই বিমানগুলো বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটি।
বাংলাদেশ মূলত কম বাজেটে উন্নত ফ্যাসালিটিজের প্রেক্ষাপটে এ মডেলের যুদ্ধবিমান আমদানি করেছিল। তবে বাংলাদেশের কাছে এই বিমান হস্তান্তরের পর এই মডেল আর বানায়নি চীন। চীনের এই বিমানটি নিয়ে নানা দেশে নানা রকম অভিযোগ আসার পরও কেন বাংলাদেশ সরকার এটা নিয়ে আগেই পদক্ষেপ নিল না সেটাই আলোচনার বিষয়।-