
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দায়ের হওয়া ‘পুলিশ হত্যা মামলা’য় ১৭ বছর বয়সি হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি ভুয়া মামলার হয়রানি রোধে ফৌজদারি কার্যবিধিতে নতুন বিধি সংযোজন করে । সেই বিধি মোতাবেক অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত ১৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মোল্লা মো. খালিদ হোসেন আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দেন। পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিমএম ফারহান ইশতিয়াক প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, ‘ফৌজদারি বিধান কোষের ১৭৩(এ) ধারা মোতাবেক অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম তদন্ত সাপেক্ষ। তদন্তের এই পর্যায়ে ঘটনার সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশু হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ (১৭ বছর ৩ মাস) জড়িত থাকার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় শিশু হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।’
এর আগে ২০ এপ্রিল ভুয়া মামলা এবং মামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিকে পক্ষভুক্ত করার চেষ্টা রোধে ফৌজদারি কার্যবিধিতে নতুন বিধি ১৭৩(ক) সংযোজন করা হয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যপক ড. আসিফ নজরুল।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(ক) এই নতুন বিধানটিতে বলা হয়েছে, ‘পুলিশ কমিশনার, এসপি বা কোনো জেলার এসপি পদমর্যাদার কোনো পুলিশ কর্মকর্তার এখতিয়ারাধীন কোনো মামলার বিষয়ে তিনি যৌক্তিক মনে করলে ইনভেস্টিগেশন অফিসার/তদন্ত কর্মকর্তাকে ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর সেই মামলার তদন্তের ব্যাপারে প্রাথমিক বা প্রিলিমিনারি ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিতে পারবেন। ম্যাজিস্ট্রেট তার বিবেচনাবলে নিরপরাধ ও যার বিরুদ্ধে উক্ত অপরাধের কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই, তাদের প্রি ট্রায়াল বা বিচার পূর্ববর্তী স্টেজেই মামলা থেকে রেহাই দিতে পারবেন।’