
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই মাসব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতা চলাকালে গুলিবিদ্ধ রমজান মুন্সী নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবারের সহিংস ঘটনায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ঢামেকে মারা যান।
৩২ বছর বয়সী রমজান মুন্সী পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাঁর বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর থানাপাড়ায়, বাবা মৃত আকবর মুন্সী। ঘটনার সময় তিনি রিকশায় যাত্রী নামিয়ে ফিরে আসছিলেন, তখনই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন। ভাই হীরা মুন্সী জানান, রমজানকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢামেকে আনা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প সূত্র জানায়, তাঁর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচে। এর আগে নিহত হন দীপ্ত সাহা (২৫), রমজান কাজী (১৮), সোহেল মোল্লা (৪১) ও ইমন (২৪)। এছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরও দুজন—সুমন বিশ্বাস ও আব্বাস আলী—বর্তমানে ঢামেকে চিকিৎসাধীন।
১ জুলাই থেকে ঘোষিত এনসিপির মাসব্যাপী 'জুলাই পদযাত্রা'র অংশ হিসেবে বুধবার ছিল ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে চার ধাপে হামলা হয়, যাতে জড়িত ছিলেন নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
হামলা চালানো হয় কংশুরে পুলিশ বাহিনীর গাড়ি ও সদস্যদের ওপর, সদর ইউএনও, পৌর পার্কের সমাবেশস্থল, জেলা প্রশাসকের বাসভবন ও জেলা কারাগারের আশপাশে। ওই সময় যানবাহন ও স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়।
বেলা ২টা ৫ মিনিটে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা—আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম—সমাবেশস্থলে পৌঁছান। তার আগেই মঞ্চ ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সমাবেশ শেষে নেতারা ফেরার সময় আবারও হামলার শিকার হন।