জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, কমিশনের কাজ ব্যর্থ হলে এর দায়ভার শুধু এককভাবে নয়, বরং সমষ্টিগতভাবে সবার ওপর বর্তাবে। তাই ব্যর্থতার কোনো সুযোগ নেই, সকলের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে সফলতার দিকেই এগোতে হবে। তার ভাষায়, কমিশনের সাফল্য নির্ভর করবে কাঠামোগত সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কতটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছে, তার ওপর।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের ১৪তম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, আগের পর্যায়ের মতবিনিময়ে কিছু বিষয়ে একমত হওয়া গেছে এবং বর্তমান ধাপেও কিছু অগ্রগতি হয়েছে। তবে যেসব বিষয়ে মতানৈক্য রয়ে গেছে, সেগুলো দ্রুত সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

তার বক্তব্যে উঠে আসে যে, ঐকমত্য কমিশন এককভাবে কোনো শক্তি নয়; এটি রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই কার্যকরভাবে এগোতে পারে।

এই সংলাপে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এলডিপি, এনসিপিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।