Logo
Logo
×

সংবাদ

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: আসল আসামিদের বাদ দেওয়ার অভিযোগে প্রশ্ন তুলল যুবদল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০২:১০ পিএম

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: আসল আসামিদের বাদ দেওয়ার অভিযোগে প্রশ্ন তুলল যুবদল

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পরিবার যে তিনজনের নাম দিয়েছিল, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন তিনজনকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। কেন এমনটা হলো— এই প্রশ্নের জবাব তিনি প্রশাসনের কাছে চেয়েছেন।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সেখানে কথা বলেন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। সেখানেই মোনায়েম মুন্না বলেন, “ঘটনাটি ঘটে বুধবার, আর গণমাধ্যমে প্রচার পায় শুক্রবার। দুই দিন দেরিতে প্রচার কেন হলো, সেটিও তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা জানতে চাই, কেন এবং কার নির্দেশে পরিবার যে তিনজনের নাম দিয়েছিল, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন তিনজনকে মামলায় যুক্ত করা হলো।”

তিনি আরও বলেন, “পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করা হয়েছিল, তাঁদের বাদ দিয়ে মামলার এজাহারে অন্যদের যুক্ত করা হয়েছে। এমনকি সিসিটিভি ফুটেজে যাদের হামলায় অংশ নিতে দেখা গেছে, তাদেরকেও প্রধান আসামি করা হয়নি। যারা প্রকৃতভাবে প্রাণঘাতী আঘাত করেছে, তাদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি— এটা অত্যন্ত অস্বাভাবিক।”

যুবদল সভাপতি বলেন, “৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। অথচ খুনের প্রমাণ হাতে থাকলেও এখনো মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। এটা রহস্যজনক ও দুঃখজনক।”

তিনি জানান, এই ঘটনায় দল দায়িত্ব এড়ায়নি। বরং সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। “আমরা কোনো অপরাধকে আড়াল করিনি,” বলেন মোনায়েম মুন্না। “গতকাল পাঁচজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত এক বছরে দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে হাজারো নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রশাসনও কি এমন কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে? যদি না নিয়ে থাকে, কেন নেয়নি তা দেশবাসী জানতে চায়।”

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “গতকাল খুলনায় আমাদের বহিষ্কৃত এক নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা জাতীয় মিডিয়ায় কোথাও এ নিয়ে প্রতিবাদ চোখে পড়েনি। চাঁদপুরে খুতবার সময় একজন ইমামের ওপরও হামলা হয়েছে। এই রকম রগ কেটে হত্যা আমাদের দেশে একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের সহিংস রাজনীতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল খুলনা ও চাঁদপুরের ঘটনায় তাদের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এমনকি কুয়েটের ঘটনাতেও তাদের ইন্ধন ছিল।”

তিনি বলেন, “দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির জন্য প্রশাসনের চরম ব্যর্থতাই দায়ী। একটি সুবিধাবাদী মহল এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করতে না পেরে এখন তারা মনগড়া প্রতিবাদ ও বিবৃতির আশ্রয় নিচ্ছে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।


Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন