বাজারে সবজির আগুনঝরা দাম, চড়া কাঁচা মরিচের কেজি ৩২০ টাকা

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে টানা বৃষ্টির মধ্যে সবজির দাম বেড়ে গেছে হঠাৎ করেই। সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে কাঁচা মরিচের দাম—যা এখন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও এই দাম ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন, করলা, ঝিঙে, পটোল, কচুরমুখি, কাঁকরোলসহ বেশ কিছু সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। টমেটোর দাম ১০ টাকা বেড়ে এখন ৯০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে। করলা ৮০ টাকা, পটোল, ঝিঙে, ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা, কচুরমুখি ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ও কাঁচকলা হালি ৩০-৪০ টাকা, আর বরবটি ৬০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।
সবজির পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামেও দেখা গেছে উর্ধ্বগতি। ঈদের পরে কিছুটা কমলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে। গরু ও খাসির মাংসের দাম যদিও আগের মতোই আছে—গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ এবং খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে আলু, মাছ এবং মসলাজাতীয় পণ্যের দাম। দেশি পিয়াজ মানভেদে ৫৫-৬০ টাকা, দেশি আদা ১৩০-১৫০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৫০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৯০-২০০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১২৮-১৩০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
মাছের বাজার এখন কিছুটা স্থিতিশীল বলা চলে। ট্যাংরা ও চিংড়ি মাছের দাম ৮০০-১২০০ টাকা কেজিতে উঠেছে, আর এক কেজি ওজনের ইলিশ মিলছে ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকায়। রুই-কাতলা ৩০০-৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বৃষ্টির কারণে পরিবহন ও সরবরাহে ব্যাঘাত, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এবং কিছু মৌসুমি প্রভাব মিলিয়েই বাজারে এই অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। তবে ভোক্তারা বলছেন, এই দাম সাধারণ মানুষের আয় ও জীবনযাত্রার ওপর বড় চাপ ফেলছে।