বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হকের ৪টি ব্যাংক হিসেবে থাকা ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন। এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ। তিনি বলেন, হামিদুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। ব্যাংকে থাকা এসব সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছিলেন হামিদুল। তাই এসব সম্পদ ফ্রিজ করা প্রয়োজন।

এর আগে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নওশাদ আলী ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন বিষয়ে অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক তাঁর ব্যাংকে থাকা অর্থ উত্তোলন হস্তান্তর ও স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন বলে দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে। এমতাবস্থায় তাঁর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

গত ২১ এপ্রিল হামিদুল হক ও তাঁর স্ত্রী নুছরাত জাহান মুক্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।

জানা যায়, এর আগে হামিদুল হক পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কলেজ সেক্রেটারি এবং কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।