ভোলায় স্বামীকে মারধর ও স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় এইচআরএসএসের তীব্র নিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে এক ব্যক্তিকে রাতভর বেঁধে রেখে মারধর এবং তার স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছে। এই বর্বর, অমানবিক ও ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাটি দেশের আইনের শাসন ও নাগরিক নিরাপত্তার ওপর একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে বলে মনে করে তারা।
আজ বুধবার এইচআরএসএসের নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি মনে করে যে, ভুক্তভোগী দম্পতির অভিযোগ অনুযায়ী স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কিছু নেতাকর্মীর সরাসরি জড়িত থাকা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি প্রমাণ করে, স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র কীভাবে দণ্ডমুক্তির সংস্কৃতিকে পুঁজি করে নিরীহ নাগরিকদের জীবন বিপন্ন করছে। এই ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে দেশের নারী নিরাপত্তা ও মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।
তাদের দাবিগুলো হলো:
• দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
• ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
• নিরপেক্ষ ও উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার নেপথ্যে জড়িত সব ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে হবে। ভুক্তভোগী নারীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, আইনি সহায়তা ও মানসিক কাউন্সেলিং প্রদান করতে হবে।
• রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের সদস্যদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত ৫ বছরে অন্তত ৬৩০৫ জন নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে আশঙ্কাজনকভাবে ৩৪৭১ জন ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে ১০৮৯ জন নারী ও শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২০৭ জনকে যাদের মধ্যে শিশু ১১৮ জন এবং ৫০ জন ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশু আত্মহত্যা করেছেন। ২০২৫ সালের ১ম ৫ মাসে কমপক্ষে ৩৬১ জন নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২১৬ জন ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে, ৮৬ জন নারী ও কন্যা শিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন নারী ।