Logo
Logo
×

সংবাদ

ভর্তুকি কমাতে চাপ আইএমএফের

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১০:৫৩ এএম

ভর্তুকি কমাতে চাপ আইএমএফের

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশ সরকারকে রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং ভর্তুকি ধীরে ধীরে হ্রাস করার ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছে। সংস্থাটি বলেছে, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের নতুন কাঠামো চালুর বিষয়টি তারা ইতিবাচকভাবে দেখছে। তবে ভবিষ্যতে এই হার সম্পূর্ণ বাজারনির্ভর করতে হবে বলেও মত দিয়েছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ সদর দপ্তর থেকে গতকাল রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন সংস্থাটির বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপমিশন প্রধান আইভো ক্রিজনার এবং ঢাকায় আইএমএফের প্রতিনিধি জয়েন্দু দে।

আইএমএফ বলেছে, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ পর্বে রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনা প্রয়োজন। পাশাপাশি সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) আকৃষ্ট করা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং তথ্য পরিসংখ্যানের মানোন্নয়ন করাও গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের ঋণচুক্তির মেয়াদ ২০২৬ থেকে বাড়িয়ে ২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। বাড়তি সময়ে বাংলাদেশ ৮০০ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত সহায়তা পাবে।

যদিও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাপ এবং গণবিক্ষোভের কারণে সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে, তবুও আইএমএফ বলছে, ঋণচুক্তির আওতায় নেওয়া সংস্কারপন্থা মোটামুটি সঠিক পথে এগোচ্ছে।

আইএমএফের মতে, বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) সংস্কার ও রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্যে তারা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে। মিশনপ্রধান পাপাজর্জিও বলেন, রাজস্ব আদায়ে একটি কার্যকর ও সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া হবে।

চলমান কর্মসূচি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশকে ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে হবে।

এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব কি না—এমন প্রশ্নে আইএমএফ বলছে, পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং হলেও, এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। পাপাজর্জিও বলেন, “বাংলাদেশে রাজস্ব সংগ্রহ জিডিপির অনুপাতে বিশ্বের সবচেয়ে নিচের সারিতে। এই কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বড় ধরনের সংস্কার দরকার।”

আইএমএফের মতে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে দাঁড়িয়ে আছে। টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো এবং বাজারভিত্তিক নীতিমালার বাস্তবায়ন জরুরি।


Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন