Logo
Logo
×

সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিলেন উমামা ফাতেমা, অনলাইন জগতে প্রতিক্রিয়ার ঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিলেন উমামা ফাতেমা, অনলাইন জগতে প্রতিক্রিয়ার ঝড়

গত পরশু অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির সঙ্গে উমামা ফাতেমার আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের অবসান ঘটেছে। সামাজিক মাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে নিজের সিদ্ধান্তের পেছনের রাজনৈতিক চাপ, দ্বন্দ্ব এবং ব্যানার ব্যবহারের জটিলতা নিয়ে সরাসরি অভিযোগ করেন।

উমামা জানান, এনসিপি (ন্যাশনাল ক্যাম্পাস পার্টি) নামের রাজনৈতিক দল গঠনের পর তিনি জুলাই মাসের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার দায়বদ্ধতা থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ব্যানারটি দলীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হওয়ায় তা নাকি অনেকের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ফলে তার ওপর ভয়াবহ অনলাইন ও অফলাইন চাপ সৃষ্টি করা হয়, যাতে তিনি এই ব্যানারে আর কাজ না করেন।

তার এই ঘোষণার পর সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় প্রতিক্রিয়ার জোয়ার। সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা একে একে মন্তব্যে জানান তাদের ভালোবাসা, ক্ষোভ ও প্রত্যাশার কথা।

তন্মধ্যে একজন মন্তব্যকারী তানভির মেহেদি লেখেন, “শুভকামনা উমামা, এনসিপিকে মানুষ ছুড়ে ফেলেছে।” আরেকজন, আবু রায়হান বলেন, “মুক্তি নিয়েছো অবশেষে, উমামা। যারা বদল চায়, তারা একদিন তা আনবেই।”

জাফর মুহাম্মদ মন্তব্য করেন, “উমামা, আপনি আমাদের সাহসের নাম। যারা বিক্রি হননি, তাদের একজন আপনি। এই লড়াই আমাদের সকলের।”

ধর্মীয় বিশ্বাস ও ন্যায়ের উপর আস্থা প্রকাশ করে ওমর ফারুক শ্রাবণ লেখেন, “আল্লাহ ভরসা আপু, মুনাফিকদের বিচার আল্লাহ করবেন।”

বিভিন্ন মন্তব্যে এনসিপি এবং তাদের নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে। কেউ কেউ বলেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না, আবার কেউ উমামার সিদ্ধান্তকে “রিয়ালিটি চেক” বলেও অভিহিত করেন।

উমামার ফেসবুক পোস্টটি কমেন্টের জন্য সীমিত রাখা হলেও, যারা মন্তব্য করার সুযোগ পেয়েছেন, তাদের অনেকেই তাঁর সাহসিকতা ও নীতিগত অবস্থানের প্রশংসা করেছেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এবং এনসিপি উভয় পক্ষের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আন্দোলনের ভেতরকার চাপ, দ্বন্দ্ব ও বিশ্বাসভঙ্গের ইঙ্গিত এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

এই বিদায়ের মধ্য দিয়ে শুধু একটি ব্যানারের কাজ থেমে যায়নি, বরং ছাত্র রাজনীতির মাঠে একটি আলোচিত অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে বলেই মনে করছেন অনেকেই।

Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন