অভিন্ন অভিজ্ঞতা ও ত্যাগের বন্ধনে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে : ভারতের পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেছেন, অভিন্ন অভিজ্ঞতা ও ত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আর এই সম্পর্ক সহনশীল ও ভবিষ্যতমুখী অংশীদারত্বের ভিত্তি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের (২৬ মার্চ) বিলম্বিত উদযাপনে যোগ দিয়ে এসব বলেন তিনি।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের স্থায়ী শক্তির ওপর আলোকপাত করে কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সবক্ষেত্রে আন্তঃসম্পর্ক ও সংযোগ জোরদারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে এবং আমাদের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী, যা আমাদের অংশীদারত্বের মূলভিত্তি।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিস্তৃত প্রকৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বাণিজ্য, যোগাযোগ, জ্বালানি, নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক বিস্তৃত এবং আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বিলম্বিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছেন, নতুন হাইকমিশনারের আগমন ও পরিচয়পত্র পেশ এবং সেই সময়ে রমজান মাস থাকায় স্বাধীনতা দিবসের (২৬ মার্চ) স্বাভাবিক সময়ের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক, নাগরিক সমাজের সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীসহ শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে ভবিষ্যতমুখী সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রিয়াজ হামিদুল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা শুধু অতীতকে স্মরণ করতেই এই সন্ধ্যা উদযাপন করছি না, বরং প্রতিবেশী ও উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনার সুযোগ হিসেবেও এটি পালন করছি।
পাশাপাশি আঞ্চলিক অংশীদারত্ব পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে হাইকমিশনার সম্প্রতি ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট নেপালি জলবিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টিকে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার একটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) বর্তমান চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতা পুনর্জীবিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উল্লেখ্য, এই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ির প্রদর্শনী করা হয়। এ ছাড়া ঢাকার বিখ্যাত ফখরুদ্দিন ক্যাটারিং থেকে আসা রাঁধুনিদের রান্না করা আইকনিক ঢাকাইয়া কাচ্চি বিরিয়ানিসহ বিশেষ একটি খাবারের মেন্যুও ছিল।