Logo
Logo
×

সংবাদ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের যুক্তরাজ্যের সম্পত্তি জব্দ

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১২:০৬ এএম

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের যুক্তরাজ্যের সম্পত্তি জব্দ

সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পত্তি জব্দ করেছে দেশটির জাতীয় অপরাধ সংস্থা (এনসিএ)। বুধবার (১১ জুন) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। 

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যে থাকা সাইফুজ্জামানের সম্পত্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের আইনি অনুরোধের পর দেশটি এই পদক্ষেপ নেয়। সাইফুজ্জামান গত বছরের  ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সহযোগী। বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য এবং ভূমিমন্ত্রীও হয়েছিলেন সাইফুজ্জামান। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার অর্থপাচারের বিষয়ে তদন্ত করছে।  

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, তাদের ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিটকে (আই-ইউনিট) গত রাতে এনসিএ’র একজন মুখ্যপাত্র এক বিবৃতির মাধ্যমে সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন। বিবৃতিতে তিলি বলেছেন, আমরা নিশ্চিত করছি যে, চলমান একটি তদন্তের অংশ হিসেবে একাধিক সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ পেয়েছে এনসিএ। 

আর সম্পত্তি জব্দ হওয়া মানে হলো এসব সম্পত্তি এখন সাইফুজ্জামান বিক্রি করতে পারবেন না। কাকতালীয় ব্যাপার এই যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের চলতি সপ্তাহে লন্ডন সফরের সময়ই ব্রিটিশ পুলিশ (ব্রিটেনের এফবিআই বলা হয়) এই পদক্ষেপ নিলো। 

গত বছর আলজাজিরার অনুসন্ধানী এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৬ বছর বয়সী সাইফুজ্জামান যুক্তরাজ্যে ৩৫০টির অধিক সম্পদের মালিক। তবে এনসিএ’র জব্দের আওতায় কি পরিমাণ সম্পদ পড়েছে তার পুরো তথ্য এখনো জানা যায়নি। তবে জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে সাইফুজ্জামানের লন্ডনের সেন্ট জনস উডের বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে বলে আই-ইউনিট জানতে পেরেছে। 

বিলাসবহুল এই বাড়িটি ১১ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে ক্রয় হয়েছিল। আই-ইউনিটের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই বাড়ির ভেতরের দৃশ্য দেখানো হয়েছিল। আলজাজিরার সাংবাদিক অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে পরিচয় গোপন করে ওই বাড়িতেই সাইফুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল। তখনো তিনি আওয়ামী লীগ সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। ওই সাক্ষাতে সাইফুজ্জামান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা সম্পদের ব্যাপারে ওই সাংবাদিককে বলেন। এমনকি তিনি ব্যয়বহুল স্যুট ও জুতার পরার রুচির কথা প্রকাশ করেছিলেন। আর প্রকাশ করেছিলেন ক্ষমতাচ্যুত হাসিনার সঙ্গে তার কেমন সম্পর্ক তাও। তিনি বলেছিলেন, আমি আসলে তার (হাসিনার) ছেলের মতো। তিনি (হাসিনা) জানেন এখানে (লন্ডনে) আমার ব্যবসা আছে। 

আই-ইউনিটের প্রতিবেদনে আরও প্রকাশ করা হয়েছিল, বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামের একটি প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান সাইফুজ্জামান। দেশের মুদ্রা আইন অনুসারে একজন নাগরিক বাংলাদেশ থেকে বাইরে বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার নিতে পারেন। বিদেশের অর্থ নেওয়ার এই সীমা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন দেশে সম্পত্তির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন সাইফুজ্জামান। তদন্তে জানা যায়, সাইফুজ্জামান লন্ডন, দুবাই এবং নিউইয়র্কে রিয়েল এস্টেটে ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেন। কিন্তু বাংলাদেশের ট্যাক্স রিটার্নে তিনি বিদেশের এসব সম্পদের ঘোষণা করেননি। 

Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন