Logo
Logo
×

সংবাদ

হাসপাতালগুলোতে শুরু হচ্ছে করোনা পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম

হাসপাতালগুলোতে শুরু হচ্ছে করোনা পরীক্ষা

দেশে আবারও করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় হাসপাতাল পর্যায়ে সীমিতভাবে কোভিড পরীক্ষার কার্যক্রম পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রাথমিকভাবে, যেসব জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরটি–পিসিআর পরীক্ষাগার রয়েছে, সেসব স্থানে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানা গেছে।

বুধবার (১১ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশীদ। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোকে পুনরায় করোনা টেস্ট চালুর প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, দেশে উৎপাদিত কিট বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও কিট আমদানির জন্য সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক হালিমুর রশীদের ভাষ্যমতে, আশা করা হচ্ছে আগামী ১০ দিনের মধ্যে পরীক্ষার প্রক্রিয়া সীমিত আকারে হলেও শুরু করা যাবে।

এ পরীক্ষায় অগ্রাধিকার পাবে কেবল তাদের, যাদের শরীরে কোভিড-১৯–এর লক্ষণ যেমন জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে, অথবা চিকিৎসকের পরামর্শে যারা পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, শুধুমাত্র উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদেরই পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে।

পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে পরীক্ষা বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে, যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ শনাক্ত হারের ইঙ্গিত দেয়।

এর আগে, ৯ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক নির্দেশনায় জনগণকে মাস্ক পরতে বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি বিমানবন্দর ও অন্যান্য প্রবেশপথে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে করোনার বিস্তার আবারও বাড়তে পারে; সে কারণেই পূর্ব সতর্কতা হিসেবে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত এসেছে।

করোনা পরীক্ষার পুনঃচালু উদ্যোগ প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহের বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতে কার্যকর হবে। তবে কেবলমাত্র যেসব প্রতিষ্ঠানে আরটি–পিসিআর সুবিধা রয়েছে, সেগুলোকেই এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়া এবং উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে অবস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেন, বর্তমান অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে সবাইকে সচেতন হতে হবে, কারণ আমরা চাই না পরিস্থিতি পুনরায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাক।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১০ জুন) প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া ১৩ জনই ঢাকা শহরের বাসিন্দা। এর আগের দিন, ৪১ জনের মধ্যে পরীক্ষায় ৫ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। নতুন আক্রান্তদের কারো মৃত্যু ঘটেনি। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও দুজন, ফলে মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৮ জনে।


Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন