মামলার আসামি হয়েও দেশ ছাড়ার পর ফিরলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি, প্রশ্ন উঠছে নানা দিক নিয়ে

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একটি ফৌজদারি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে তিনি দেশত্যাগ করলেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কিশোরগঞ্জে একটি মিছিলে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম রয়েছে অভিযুক্তদের তালিকায়।
দেশে ফেরার পর সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকরা তাঁর কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন।
এক সাংবাদিক জানতে চান, “একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে মামলা থাকা সত্ত্বেও তিনি কীভাবে বিদেশে গেলেন এবং আবার দেশে ফিরে এলেন—এখনো কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?”
উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আপনারাই বলছেন, অনেক মামলা আছে এবং অনেক মামলার তদন্ত এখনো হয়নি। তদন্ত শেষ হলে যিনি দোষী প্রমাণিত হবেন, তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে নিরপরাধ কাউকে যেন সাজা না পায়, সেটিও আপনাদেরই দাবি। তাই আমাদের তদন্তের কাজ শেষ করতে দিন। তদন্ত শেষে যদি কেউ অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হন, তাঁকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করা হবে।”
তদন্ত ছাড়া ফৌজদারি মামলায় কাউকে দায়ী না করার বিষয়ে আরও স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “আপনারা তো বলেন, নির্দোষ কেউ যেন শাস্তি না পায়। সুতরাং যদি অভিযোগ প্রমাণ না হয়, তাহলে তো কাউকে দোষী করা যায় না। আমি আপনাদের কথাই তো শুনছি।”
প্রসঙ্গত, গত ৭ মে দিবাগত রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। তার ঠিক কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও নানা প্রশ্ন উঠেছে।