নাবিল গ্রুপে বকেয়া ঋণ উদ্ধারে কর্মকর্তা নিয়োগ দিলো ইসলামী ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি থেকে নাবিল গ্রুপ সংশ্লিষ্ট ১৬ প্রতিষ্ঠানের নেওয়া ঋণের অর্থ উদ্ধার এবং তা পর্যবেক্ষণের জন্য কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে ব্যাংকটি। সোমবার (০২ জুন) ব্যাংকটির মানবসম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
ওই অফিস আদেশে অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত উপ ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এবং সিএএমএলও মুহাম্মদ কামালউদ্দিন (জসিম)-কে নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি নাবিল গ্রুপের সংশ্লিষ্ট ১৬টি প্রতিষ্ঠানের ঋণের বকেয়া পড়া অর্থ উদ্ধার এবং এই সংক্রান্ত কার্যাবলি গভীরভাবে নজরদারি করতে বলা হয়।
নাবিলের যে ১৬ প্রতিষ্ঠানের ঋণ উদ্ধারের ব্যাপারে নজরদারি কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো—শিমুল এন্টারপ্রাইজ. রাজশাহী ব্রাঞ্চ, নাবিল অটো রাইস মিল. রাজশাহী ব্রাঞ্চ, নাবিল অটো ফ্লাওয়া মিল. রাজশাহী ব্রাঞ্চ, নাবিল ফিড মিলস লি. রাজশাহী ব্রাঞ্চ, নাবিল কোল্ড স্টোরেজ. রাজশাহী ব্রাঞ্চ, নাবিল নাবা ফুড লি. রাজশাহী ব্রাঞ্চ, নাবা ফার্ম লিমিটেড. রাজশাহী ব্রাঞ্চ, আনোয়ারা ফিড মিলস লি. রাজশাহী ব্রাঞ্চ, নাবা অ্যাগ্রো ট্রেড ইন্টা. গুলশান করপোরেট ব্রাঞ্চ, নাবিল গ্রেইন ক্রপস লি. গুলশান করপোরেট ব্রাঞ্চ, মার্কেট মাস্টার অ্যানালাইজার লি. গুলশান-১ ব্রাঞ্চ, জামান সিন্ডিকেট. পাবনা ব্রাঞ্চ, সুলতান অ্যাসোসিয়েটস লি. নিউ মার্কেট (রাজশাহী) ব্রাঞ্চ, এ জে ট্রেড ইন্টা. রাজশাহী ব্রাঞ্চ, ইন্টা. প্রোডাক্ট প্যালেস. রাজশাহী ব্রাঞ্চ এবং আনোয়ারা ট্রেড ইন্টা. রাজশাহী ব্রাঞ্চ।
অফিস আদেশে তালিকাভুক্ত এসব প্রতিষ্ঠানের ঋণের বকেয়া পুনরুদ্ধার কার্যক্রম নিবিড় পর্যবেক্ষণ, ফলোআপ, ঋণ পুনতফঃসিল, ঋণ অবলোপনসহ এই সংক্রান্ত কার্যক্রম তদারকি, বকেয়া বিনিয়োগ/কিস্তি পুনরুদ্ধারের জন্য শাখার কর্মকর্তাদের সতর্ক, সজাগ এবং সক্রিয় রাখা, বকেয়া ঋণ উদ্ধার সংক্রান্ত মামলা চালানো, পুনরুদ্ধারের অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত প্রতিবেদন এবং আপডেট রাখা, খেলাপি প্রতিষ্ঠান, অংশীদার, নিয়ন্ত্রক এবং স্টেকহোল্ডারদের সাথে যোগাযোগ রাখা, তাদের খেলাপি অবস্থা থেকে বের করে আনতে সর্বোত্তম উপায় খুঁজে বের করা এবং ঋণের অর্থ পুনরুদ্ধারে আইনি বা নিষ্পত্তি আলোচনায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব ও কৌশল প্রস্তুত করা এবং এই বাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিয়মিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
এদিকে, সোমবার অপর এক অফিস আদেশে নাবিল গ্রুপ ও এস আলম গ্রুপের বাইরে ১০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের বকেয়া আদায়ে, বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন কমাতে প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ইসলামী ব্যাংকের উপ ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাকেও নিয়মিত দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে এই দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং তাকেও জসিমের মতো বকেয়া ঋণ উদ্ধারে একই ধরনের তৎপরতা চালাতে বলা হয়েছে।