মানবিক করিডর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি: জাতিসংঘ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
-6840221327a47.jpg)
কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে করিডর চালুর বিষয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস। আজ বুধবার ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে ‘ডিক্যাব টক’ শীর্ষক এ আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
গোয়েন লুইস বলেন, ‘যেকোনো ধরনের আন্তঃসীমান্ত সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ, সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সহায়তা করার জন্য যেকোনো ধরনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। এ বিষয়ে জাতিসংঘ সহায়তা করবে। কিন্তু এ ধরনের কোনো মানবিক করিডর নেই। আমরা করিডর সংক্রান্ত কোনো ধরনের আলোচনায়ও নেই।’
তিনি আরও বলেন, এটি (করিডর) দুই সরকারের বিষয়। এটি প্রতিষ্ঠা হলে জাতিসংঘ সহায়তা করতে পারে। ‘রাখাইনে প্রবেশ করা খুব দুরূহ। সেখানে সংঘাত চলছে এবং পরিস্থিতি অনিশ্চিত। মিযানমার সরকারের সঙ্গে ইউএনডিপি এবং ইউএনএইচসিআরের মধ্যে সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি সমঝোতা ছিল। এটি চালু রয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। যদিও সেখানে কিছু কর্মী রয়েছে এবং কিছু অংশীদার সেখানে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল যোগাড় করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গারা সম্মানজনকভাবে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে চায়।’ কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি এখন ভালো নয় এবং চ্যালেঞ্জিং।
গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন রাখাইনে অভাব অনটনের কারণে ত্রাণ পৌঁছাতে ‘মানবিক করিডর’ চালুর কথা সাংবাদিকদের জানান।
সশস্ত্র বাহিনীসহ বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি উঠলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, করিডর নয়, ‘মানবিক চ্যানেল’ চালু করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে।
দুই উপদেষ্টা বলেন, সরকার রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার সঙ্গে সেখান থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি যুক্ত করার চেষ্টা করছে। তাঁরা বলেন, রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়া গেলে সেখানকার পরিস্থিতি ভালো হতে পারে। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হতে পারে।