Logo
Logo
×

সংবাদ

জুলাই অভ্যুত্থান

অপরাধী সংগঠন হিসেবে আ. লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের দায় পেয়েছে তদন্ত সংস্থা

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম

অপরাধী সংগঠন হিসেবে আ. লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের দায় পেয়েছে তদন্ত সংস্থা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলন দমাতে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের ভূমিকা প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনালে দেওয়া প্রথম তদন্ত প্রতিবেদনে অপরাধী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন এবং ১৪ দলীয় জোটের দায় পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লব চলাকালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ তাদের অঙ্গ সংগঠন ও ১৪ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশব্যাপী মানবতাবিরোধী অপরাধ করে। তৎকালীন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ই জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি আন্দোলন দমনে ড্রোন, হেলিকপ্টর ও মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ প্রদান করেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে তিনি জানান, আন্দোলন দমনে ছাত্রলীগ, যুবলীগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের উপর নিপীড়ন চালানোর উসকানি প্রদান করে বলেন, আন্দোলন দমনে ছাত্রলীগই যথেষ্ট।

২০ জুলাই গণভবনে অনুষ্ঠিত ১৪ দলীয় জোটের সভা শেষে তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের দেখা মাত্র গুলির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট গণভবনসহ বিভিন্ন স্থানে মিটিং করে আন্দোলন দমনে কারফিউ জারিসহ নিপীড়নমূলক বিভিন্ন দলগত সিদ্ধান্ত নেয় এবং তা তাদের অধীনস্থ রাজনৈতিক সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী কর্তৃক নিরীহ আন্দোলনকারীদের উপর হত্যাসহ বিভিন্ন নির্যাতন ও নিপীড়ন পরিচালনা করে।

ট্রাইব্যুনালে দেওয়া প্রথম এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উক্ত অপরাধসমূহ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়। একইসাথে তদন্তে আরও প্রমাণিত হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ তাদের অঙ্গ সংগঠন ও ১৪ দলীয় জোট দলীয় ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নিরীহ, নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপরে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদেরকে (Criminal Organization) অপরাধী সংগঠন হিসেবে গণ্য করার শামিল।

অস্ত্র ঠেকিয়ে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যার পর লাশের উপর আক্রমণ ও গুলি বর্ষণ, চিকিৎসা প্রদানে এবং লাশ দাফন বা সৎকারে বাধা প্রদান, নির্বিচারে গুলি করে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে চিরস্থায়ী অঙ্গহানী ও চেহারা বিকৃত করে দেয়ার মত কার্যকলাপ নিশ্চিতভাবে পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস, নিষ্ঠুর, বিভৎস ও অমানবিক ঘটনা হিসেবে পরিগণিত হবে।

Logo

ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন