
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষস্থানীয় নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম আজ বুধবার সকালে কারাবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে অবস্থিত প্রিজন সেল থেকে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে তিনি মুক্তি পান। জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) মো. জাহাঙ্গীর কবির এই তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক সুরাইয়া আক্তার জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগ আজহারুল ইসলামকে খালাস দেন। আদালতের আদেশ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই–বাছাই শেষে আজ সকালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যুদ্ধাপরাধের দায়ে আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি তিনি সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে, সর্বসম্মতিক্রমে আজহারুলকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, যদি তাঁর বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা বা আইনগত বাধা না থাকে, তাহলে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ সকালে তিনি মুক্তি পান।
২০১২ সালের ২২ আগস্ট ঢাকার মগবাজার থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগের রায় ঘোষণার পর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ তার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি রায়ের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন ২০২০ সালের ১৯ জুলাই।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সেই রিভিউ শুনানির অনুমতি দেয় আদালত এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে সংক্ষিপ্তসার দাখিলের নির্দেশ দেয়। সব প্রক্রিয়া শেষে গতকাল তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।